‘জাফর ভাই: সাধারণ মানুষের মুক্তির যোদ্ধা’
১৯৮২ সালে জাফর ভাই (ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) যখন জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন করেন তখন আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র। জাফর ভাই ও নুরুল ইসলাম স্যারেরা যখন ওষুধ নীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করেন, তখনই ওই সময়কার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং সিনিয়র ডাক্তারদের প্রায় সবাই সেটার বিরোধিতা করেন। ওই ওষুধ নীতি নিয়ে কোনো মেডিকেল কলেজেই কোনো আলোচনা করতে পারেননি তারা। আমি ছাত্র সংসদে ছিলাম, সে সময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের উদ্যোগে মেডিকেল কলেজের লেকচার গ্যালারিতে ওষুধ নীতি নিয়ে একটা সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেদিনই প্রথম জাফর ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়।
মেডিকেল কলেজে পড়া শেষ করে ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৬-১৯৮৭ সালের দিকে আমার দুয়েকজন ডাক্তার বন্ধু গণস্বাস্থ্যে যোগ দেয়, যদিও আমি সরকারি চাকরিতে যোগ দেই। তখন ধানমন্ডির ৬ নম্বরে একটা দোতলা বাড়িতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঢাকা অফিস ছিল, সেখানে মাঝে মাঝে যেতাম। তখনো সেখানে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল হয়নি।
এই প্রসঙ্গে বলা দরকার যে তখন বাংলাদেশে ইন্টারনেট ছিল না, বিদেশি মেডিকেল জার্নাল তেমন একটা আসত না। কিন্তু জাফর ভাইয়ের কল্যাণে গণস্বাস্থ্যে অনেক জার্নাল আসত। বিশেষ করে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল, ল্যানসেট, জার্নাল অব অ্যামেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন—এই চারটি বিখ্যাত মেডিজেল জার্নাল গণস্বাস্থ্যের লাইব্রেরিতে পাওয়া যেত। বাংলাদেশে এসব জার্নাল তখন দুই-চার কপি আসত। জাফর ভাই তখন মূলত সাভারে থাকতেন, মাঝে মাঝে ঢাকায় আসতেন। জাফর ভাই জার্নালগুলো পড়তেন এবং পড়ার পর যেটা আমার পড়া উচিত মনে করতেন সেটা ফটোকপি করে কোনায় আমার নাম লিখে দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দিতেন। সাভার থেকে ধানমন্ডি ৬ নম্বরে আসার পর এই অফিসের একজন সাইকেলে করে আমার বাসায় সেই জার্নালের ফটোকপি দিয়ে যেত।
আজ আমার আরও মনে পড়ছে সেই সময়কার কয়েকটা ঈদের দিনের কথা। ঈদের দিন আমাকে ফোন করে বলতেন, কী করছ তুমি? আমি হয়তো বলতাম যে, নামাজ পড়ে ফিরলাম। উনি বলতেন, চলে এসো ধানমন্ডি (ধানমন্ডি মানে এখন ৬ নম্বরে যে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, সেই জায়গাটা)। ১১-১২টার দিকে হয়তো আমি আসতাম। সারা বিল্ডিংয়ে চার-পাঁচজন মানুষ—ওনার ড্রাইভার, কাজের সহকারী, উনি ও আমি থাকতাম। আমি এখনো মনে করতে পারি, অন্তত চারটা ঈদ শুধু মুড়ি দিয়ে গরুর মাংস খেয়েছি জাফর ভাইয়ের সাথে। মুড়ি দিয়ে গরুর মাংস আমি আগে কখনো খাইনি, ওনার সাথেই খেয়েছি প্রথম। ধীরে ধীরে জাফর ভাইয়ের সাখে আমার অন্তরঙ্গতা বাড়ল। ১৯৮৯ সালে যখন আমি তৎকালীন পিজিতে ফার্মাকোলজি পড়তে আসলাম তখন জাফর ভাই ভীষণ খুশি হয়েছিলেন!
সেই ওষুধনীতি প্রণয়নের পরপরই বিভিন্ন পেশার মানুষদের সংগঠিত করেছিলেন 'সবার জন্য স্বাস্থ্য' নামের একটা সংগঠনে। এটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, সম্পাদকসহ সমাজের গণমুখী চরিত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একত্রিত করা হয়েছিল জাতীয় ওষুধনীতির পক্ষে সচেতনতামুলক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্যে। 'সবার জন্য স্বাস্থ্য' অনেকগুলো বুকলেট ছেপেছিল বিভিন্ন শিরোনামে। 'ভিটামিন কেন অপ্রয়োজনীয়', 'মানুষ ওষুধ খায় প্যাকেট না', এ ধরনের ছোট ছোট লেখা নিয়ে ৪-৮ পাতার বুকলেট বের করতেন তারা। জাফর ভাই এগুলো দেখে দিতেন। ওনার বাংলা ভাষা নিয়ে খুবই আগ্রহ ছিল। নিজে খুবই ভালো বাংলা লিখতেন, বাংলা বানানের বিষয়ে ভীষণ রকমের খুঁতখুঁতে ছিলেন। তাই বানান ভুল করার সুযোগ ছিল না।
১৯৯০ সালের দিকে উনি একটা বই লেখা শুরু করেন—'পলিটিক্স অব এসেনশিয়াল ড্রাগস'। ওই সময়ে তিনি জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি তৈরি করেন। স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে বক্তৃতা দিলেন তৎকালীন রাস্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। সেই বক্তৃতায় ডাক্তারদের সম্পর্কে আক্রমণাত্মক কথায় পুরো বিগড়ে গেলো ডাক্তার সমাজ। এরপর এরশাদ সরকারের পতন ঘটল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০-এ ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি বাতিল করে দিল।
জাতীয় ওষুধনীতির কারণে বাংলাদেশে আজ যেমন গার্মেন্টেসের মত ফার্মাসিটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি হয়েছে, ১৯৯০ সালের স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আজ ইংল্যান্ডের মত হতো। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে ওষুধের বাজার ছিল ১৮৭ কোটি টাকা, এখন তা ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ওই সময় বাংলাদেশ ৮০ শতাংশ ওষুধ আমদানি করতো আর এখন দেশের প্রয়োজনের ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হয়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১৫০টি দেশে রফতানি করে। যদি ওই স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়িত হতো, তাহলে আজ শতভাগ মানুষ চিকিৎসা পেত।
স্বাস্থ্যনীতিতে প্রফেসরদের প্র্যাকটিস বন্ধ করতে হবে—আমিসহ আরো কয়েকজনই এটাকে পরবর্তী পর্যায়ে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু জাফর ভাই বলেছিলেন হয় পুরোটা নেবে, নাহলে একটুও নয়। ওই প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যনীতির চেয়ে ভালো (একইসাথে গণমুখী ও চিকিৎসক বান্ধব) কোনো নীতি আজ অবধি প্রণীত হয়নি এবং হওয়াও সম্ভব না। সেই নীতিতে ডাক্তারদের ক্যারিয়ার সম্পর্কে যে দিকনির্দেশনা ছিল, আজও সেটা চিকিৎসকদের স্বপ্ন। দুর্ভাগ্য যে, ১৯৯০ সালের স্বাস্থ্যনীতির কারণে জাফর ভাইকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং তার সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হয়। আজ এদেশের সাধারণ চিকিৎসকদের উপলব্ধির আলোকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে তার সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়াটাই হবে সবচেয়ে নৈতিকভাবে সিদ্ধ এবং একটি জননন্দিত সিদ্ধান্ত।
একটা মানুষ যে কত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হয় তা জাফর ভাইকে না দেখলে জানতাম না। ১৯৭২ সালে উনি গণস্বাস্থ্যের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি লিখেছিলেন 'ধূমপায়ীদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই'। এর প্রায় ৪০ বছর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থা ধূমপানের বিরুদ্ধে এ ধরনের শক্ত অবস্থান নিয়েছে। নারীদের প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার কোনো নিয়ম ছিল না। জাফর ভাই ১৯৭২ সালে বললেন যে ড্রাইভিং নারীদের জন্যে একটা উপযুক্ত পেশা হতে পারে। উনি নারীদের প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে অনেক দেন-দরবার করে অনুমতি করালেন। ফলে বাংলাদেশের প্রথম প্রফেশনাল নারী ড্রাইভার হলো গণস্বাস্থ্যের ড্রাইভার। উনি বললেন, ড্রাইভিং পেশা হবে নারীদের জন্য খু্বই ভালো, কারণ তাদের হাতে গাড়ি বেশি নিরাপদ থাকবে। এখন তো পশ্চিমে নারী-পুরুষ সমান ড্রাইভিং করে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অ্যাক্সিডেন্টের হার নারীদের মধ্যে ৫ শতাংশ আর পুরুষের মধ্যে ৯৫ শতাংশ। এরকম বিভিন্ন বিষয়ে উনি বিশ্বের অনেকের আগেই বুঝতে পারতেন।
বাংলাদেশ তথা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যেটুকু উন্নতি হয়েছে, তার অধিকাংশ জাফর ভাইয়ের চিন্তাগুলো যেখানে মানা হয়েছে সেগুলোই হয়েছে। আর যেটুকু হয়নি ওনার কথাগুলো শোনা হয়নি বলেই সম্ভবত হয়নি। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ঘোষণা দেওয়ার ৬ বছর আগেই সাভারের মাঠে জাফর ভাইয়ের নেতৃত্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদাহরণ সৃষ্টি করে । ১৯৭৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন আলমা আটা ডিক্লারেশন দেয়, তখন বিশ্বের যে চারটি সাফল্যের উদাহরণ আলোচিত হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তার একটি। ভিয়েতনাম যুদ্ধে মানুষের বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনের লক্ষ্যে যে ল্যাট্রিনের মডেল তৈরি হয়েছিল, তিনি সেটা সাভারে এনে এদেশের মানুষকে দেখিয়েছেন। আসলে আমরা শত শত তরুণ জাফর ভাইয়ের কাছ থেকেই স্বাস্থ্যর যে রাজনীতি, তার জটিল ডাইনামিক্স সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি এবং শিখেছি।
আর ওনার সরল জীনযাপন সম্পর্কে সবাই জানে। দুইটা শার্ট আর দুইটা প্যান্ট দিয়ে বছরের পর বছর চলেছেন। কোনোদিন গাড়িতে বা বাসায় এয়ার কন্ডিশনার লাগাননি। গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের রুমে যখন এয়ার কন্ডিশনার লাগানো হয় তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন, 'খসরু (আমার ডাক নাম), দেখেছ, এটা কোনো কথা হলো! গণবিশ্ববিদ্যালয়ে যদি এয়ারকন্ডিশনার লাগায়, তাহলে আমরা কীসের জন্য লড়াই করলাম বলো?'
ওনার চোখের ভেতরে যে লেন্সটা লাগানো ছিল, সেটা ছিল দুনিয়ার সবচেয়ে সস্তা লেন্স (সম্ভবত ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দাম)। যে সার্জন লাগিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন একজন সদ্য ডিপ্লোমা করা সার্জন। জাফর ভাইয়ের চোখের ঝুঁকির কথা ভেবে আমরা বলেছিলাম, জাফর ভাই, একটু সিনিয়র কারোর হাতে অপারেশনটা করান। জাফর ভাই বলেছিলেন, 'যে ডাক্তার আমার হাসপাতালে রোগীদের লেন্স লাগায় আমি তার কাছ থেকেই লেন্স লাগাব। আমি যদি আমার হাসপাতালের সার্জনের হাতে লেন্স না লাগাই, তাহলে ওর কাছে অন্য রোগীরা লেন্স লাগাবে কেন?' পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা দামের লেন্স নিজের হাসপাতালের একজন নবীন সার্জনের হাত দিয়ে নিজের চোখে লাগিয়েছেন তিনি।
গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় দেখা গেল সেটাতে কোনো হোস্টেল নেই। ওনাকে যখন বলা হলো, তাহলে ছাত্ররা কোথায় থাকবে, উনি বললেন 'কেন গ্রামে থাকবে।' যখন বলা হলো যে ছাত্ররা আগে বাসার বাইরে থাকেনি, হঠাৎ কীভাবে গ্রামে থাকবে, তখন উনি ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রছাত্রীদের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে একটা বিল্ডিংয়ে থাকার ব্যবস্থা করলেন। সম্ভবত এখনো ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রছাত্রীরা সেখানে থাকে, কিন্তু সেকেন্ড ইয়ারে তারা আশপাশের গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। একসময় আমিও বলেছিলাম, 'জাফর ভাই, হোস্টেল নাই, তাই অনেক ভালো ছেলেমেয়ে সেখানে পড়তে যায় না।' উনি তখন বলেছিলেন, 'ভালো ছেলেমেয়ে কোন ব্যাপার না, বুঝছ। ব্যাপারটা হলো মেডিকেলের ছাত্ররা গ্রামে গেলে চারপাশের উন্নতি হবে। তাদের ভাড়া দেওয়ার জন্য আশেপাশের গ্রামগুলোতে ঘরবাড়ি হবে, হাট-বাজার হবে। মেডিকেলের ছাত্রছাত্রীদের আসা-যাওয়ার মাধ্যমে ওদের সাথে গ্রামের মানুষের সখ্যতা গড়ে উঠবে। দুই পক্ষই দুই পক্ষের কাছ থেকে সভ্যতা-ভব্যতা শিখবে। হোস্টেল তো ব্যারাকের একটা রূপ। আর ব্যারাক হলো মিলিটারির জন্য, যারা সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা থাকে।'
গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের একই ক্যান্টিনে খেতে হয়। আজ থেকে ২৫ বছর আগে এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও দারোয়ান একই খাবার খেতেন। পরে সম্ভবত খাবারের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু এখনো সবাই একই ক্যান্টিনে পাশাপাশি খায়।
দেশের যেখানে যখনই কোনো দুর্যোগ এসেছে, গণস্বাস্থ্য সেখানে সবার আগে পৌঁছেছে। সাটুরিয়ায় ঘূর্ণিঝড়, প্রথমবারের রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আগমন, ১৯৮৮ সালের বন্যাসহ প্রতিটা বিপদের সময় হেলথ সেক্টরে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে গণস্বাস্থ্য। ট্রাকে গণস্বাস্থ্যের ডাক্তাররা মেডিকেল টিম আর রিলিফ নিয়ে দ্রুত চলে যেতেন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়।
এই যে সবশেষে নগর হাসপাতালে প্রতিদিন ৩০০ মানুষকে ডায়ালাইসিস সেবা দেয়া হচ্ছে, আমার জানামতে পৃথিবীতে এককভাবে এতজনকে একদিনে ডায়ালাইসিস সেবা দেয় এমন কোনো সেন্টার নেই। আর ৩০০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকায় ডায়ালাইসিস সেবা দেয়া, এই কথাটা দুনিয়ার কোথাও কেউ এখনো স্বপ্নেও ভাবে না, যা জাফর ভাইয়ের কারণে আজকে দৃশ্যমান বাস্তবতা।
প্রকৃত বিবেচনায়, জাফর ভাই শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা না, উনি হলেন সাধারণ মানুষের মুক্তির যোদ্ধা। উনি ১৯৭২ সালে যুদ্ধ শেষ করেননি, '৭২-এ নতুন ফেজ অব ওয়ার শুরু করেছিলেন। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর উনি যে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, তা তো শেষ করতে পারলেন না...
- অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, চেয়ারম্যান, ফার্মাকোলজি বিভাগ, বিএসএমএমইউ