আমাদের পুরোপুরি বাণিজ্যের দিকে ফোকাস করা উচিত, অন্য কিছুতে নয়
আমাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক রপ্তানি প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার প্রায় ৬০ শতাংশই যায় ইউরোপের বাজারে। আমি যেহেতু ব্যবসা করি, ফলে আমার বক্তব্য হবে ট্রেড পারসপেকটিভ বা বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে, রাজনৈতিক নয়।
কেবল রাশিয়ার পক্ষে থাকা ট্রেড পারসপেকটিভ আমাদের জন্য আত্মঘাতী হতে পারে।
রাশিয়া আমাদের রপ্তানির মূল গন্তব্য নয়, বেশিরভাগ রপ্তানিই ইউরোপীয় ইউনিয়ন, গ্রেট ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। ফলে যে কোন মূল্যে ট্রেডকে রক্ষা করতে হবে।
কেবল রাশিয়ার পক্ষে অবস্থানের কারণে তারা (ইউরোপ) কঠোর হয়ে যেতে পারে, যা আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমান ইস্যুতে ইউরোপকে (ব্রিটেন সহ) অখুশি করা উচিত হবে না। আমাদের মনোযোগ থাকা উচিত বাণিজ্যে। ইউরোপের বাজারে আমাদের জিএসপি ইস্যু রয়েছে, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বাণিজ্যের পাশাপাশি আমাদের মনেটারি সিস্টেমেও প্রভাব পড়তে পারে।
আমি রাশিয়ায় কোনো পণ্য রপ্তানি করি না। বাংলাদেশ রাশিয়াতে যা রপ্তানি করে, তার একটি বড় অংশ ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে যায়। ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে এইচ এন্ড এম সহ একাধিক বড় ব্র্যান্ড রাশিয়ায় তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। এছাড়া মানবিক দিক বিবেচনায়ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের পক্ষে সমর্থন যৌক্তিক নয়। আমাদের সম্পূর্ণভাবে বাণিজ্যের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত, অন্য কিছুতে নয়।
ইউরোপ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত বছর আমাদের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রকেও অখুশি করা উচিত হবে না।
(শোভন ইসলাম স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। টিবিএস সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রিয়াদ হোসেনের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে তার কথা হয়)