অর্থনীতি মন্দায়, ধসের দ্বারপ্রান্তে ওয়ালস্ট্রিটের পুঁজিবাজার: নিউইয়র্কের মেয়র
যুক্তরাষ্ট্র মন্দার মধ্যে রয়েছে, পুঁজিবাজার ধসের দ্বারপ্রান্তে বলে মন্তব্য করেছেন নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস।
শুক্রবার নিউইয়র্কে অলাভজনক সংস্থা-প্রজেক্ট হসপিটালিটি'র এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন।
গণমাধ্যম আরটি তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে- 'আমরা এমন আর্থিক সংকটে রয়েছি, যা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। ওয়ালস্ট্রিট ধসে যাচ্ছে; আমরা মন্দার মধ্যে রয়েছি'।
সংকটকালে নগর কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা সম্পদের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় তিনি বলেন, ' আমি শহরের পক্ষ থেকে বলছি, আমাদের হাতে সম্পদ এতটুকুই; এ দিয়েই চাহিদা মেটাতে হবে'।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে বিবৃতি দিয়েছেন, তার সাথে এর পরে দেওয়া এরিক অ্যাডামসের ভাষ্যে ছিল অনেক পার্থক্য।
বাইডেন বলেছেন, 'অর্থনীতির গতি কমে আসলেও' মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা 'একে সঠিক পথে' পরিচালিত করছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় মার্কিন অর্থনীতির সরকারি তথ্য। অ্যাডামস ও বাইডেন উভয়েই এনিয়ে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, টানা দুই প্রান্তিকে সংকুচিত হয়েছে দেশটির অর্থনীতি; এ ধরনের টানা সংকোচনকেই মন্দা শুরুর ইঙ্গিত হিসেবে ধরা হয়।
মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য জানায়, এপ্রিল থেকে জুন সময়ে আমেরিকার মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) সংকুচিত হয়েছে। এনিয়ে টানা দুই প্রান্তিকে অর্থনীতির বিকাশ না হয়ে উল্টোযাত্রাই হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিক নাগাদ জিডিপি সংকোচনের গতি দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে বলে প্রাথমিক হিসাবে জানানো হয়েছে। এই হার এক বছর অব্যাহত থাকলে মার্কিন অর্থনীতি ১ শতাংশ সংকুচিত হবে।
মুডিস এনালিটিক্সের জ্যেষ্ঠ পরিচালক স্কট হোয়ট বলেছেন, 'আমেরিকার অর্থনীতি হিমশিম খাচ্ছে। চলতি এবং আগামী বছর উভয় সময়েই অর্থনীতির সম্ভাবনাময় প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন হবে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে অর্থনীতি মন্দার মধ্যে পড়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি না'।
এর আগে গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)'র প্রতিবেদনে জানানো হয়, মার্কিন অর্থনীতি মন্দার দিকেই এগিয়ে চলেছে, যা এড়ানোর সুযোগ খুবই কম।
আইএমএফ- এর প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে অলিভার গুরিনচাসের পর্যবেক্ষণ উদ্ধৃত করে জানানো হয়, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির মন্দা এড়ানোর সম্ভাবনা খুব কমই রয়েছে।'
- সূত্র: প্রেস টিভি