উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির অঙ্গীকার পুতিনের
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে 'বিস্তৃত ও গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির' অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া। পিয়ংইয়ং-এর স্বাধীনতা দিবসে কিম জং উনের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ অঙ্গীকার করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন চিঠিতে বলেছেন, সম্প্রসারিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক 'দুই দেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ' হবে।
চিঠির জবাবে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল, সামনের দিনে তা আরও শক্তিশালী হবে।
দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, সমর্থন এবং সংহতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। সেইসঙ্গে, শত্রু শক্তির সামরিক হুমকি ও যেকোনো ধরনের অমূলক উস্কানি মোকাবেলার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে পিয়ংইয়ং শত্রুপক্ষের নাম উল্লেখ না করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের কথা বারবার উল্লেখ করেছে।
একসময় সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রধান মিত্র। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্নায়ুযুদ্ধকালীন ইউরোপে 'আয়রন কার্টেন' নীতির পরিপ্রেক্ষিতে এ সম্পর্ক কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়। দুই দেশের মধ্যে ২০০০'র দশকের গোড়ার দিক থেকে আবারও সম্পর্ক উন্নত হতে থাকে এবং সর্বশেষ চলতি বছরের জুলাইয়ে উত্তর কোরিয়া পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্ন দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এর জবাবে সম্প্রতি ইউক্রেন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
- সূত্র: বিবিসি