সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহে ৩দিন অফিস করার নির্দেশনা অ্যাপল কর্মীদের
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মীদের ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিল দুই বছর। তবে মহামারির বিস্তার কমে আসায় এখন কর্মীদের আবারও অফিসে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল।
আর মাত্র সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ হারাতে যাচ্ছেন অ্যাপল কর্মীরা। সপ্তাহে অন্তত ৩দিন অফিসে উপস্থিত থেকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাদের। অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক এক ইমেইলে কর্মীদের উদ্দেশ্যে এ নির্দেশনা দেন।
৫ সেপ্টেম্বর থেকে রোস্টারভিত্তিতে অ্যাপল কর্মীদের অফিসে ফিরতে হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যাশা করছেন মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবারসহ সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন কর্মীরা অফিসে আসবেন। উল্লিখিত দুইদিনসহ আর কোন দিন কর্মীরা অফিসে উপস্থিত থাকবেন তা নির্ধারণ করবেন টিম ম্যানেজার।
টিম কুক তার ইমেইল বার্তায় সপ্তাহে ৩ দিন স্বশরীরে অফিস করার এই নতুন উদ্যোগকে 'পাইলট' বা পরীক্ষামূলক একটি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রয়োজনের ভিত্তিতে এতে যেকোনো ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে অ্যাপল কর্মীরা স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে একটি নির্ধারিত সময়সূচীতে অফিসে ফিরবেন বলে জানানো হয়েছে ইমেইল বার্তায়।
টিম কুক বলেন, "আমরা এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে খুবই উদ্দীপ্ত এবং বিশ্বাস করি যে, সংশোধিত এই কাঠামোটি আমাদের নমনীয়তার সঙ্গে কাজ করার সক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলবে; পাশাপাশি পারস্পারিক সহযোগিতাকেও রক্ষা করবে, যা আমাদের সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত জরুরি।"
এর আগে, গেল বছরের জুনে অ্যাপল কর্মীদের (ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর থেকে) অফিসে ফেরার নির্দেশনা দেওয়া হলেও পরবর্তীতে বাড়িতে বসে কাজ করার সময়সীমা বৃদ্ধি আরও কিছুদিন বৃদ্ধি করা হয়। হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় অফিসে ফেরার সিদ্ধান্ত তখন বাতিল করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিশেষ প্রয়োজনে কিছু কর্মীকে সপ্তাহে এক থেকে দুদিন স্বশরীরে অফিস করতে বলা হয়েছিল তখন।
নতুন এই সিদ্ধান্তটিকে যেহেতু পরীক্ষামূলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, তাই বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
- সূত্র: দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস