সাহিত্যে নোবেল জিতলেন ফরাসি লেখক অ্যানি এর্নো
২০২২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেলেন ফরাসি লেখক অ্যানি এর্নো।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় সুইডিশ অ্যাকাডেমি এ বছরের বিজয়ী হিসেবে ৮২ বছর বয়সি এ লেখিকার নাম ঘোষণা করে।
অ্যানি এর্নোর জন্ম ১৯৪০ সালে। বেড়ে ওঠা নর্মান্ডির ছোট শহর ইভেটট-এ। তার বাবা-মা ক্যাফে ও মুদি দোকান চালাতেন।
অ্যানির সাহিত্যিক হয়ে ওঠার যাত্রা ছিল দীর্ঘ। ৩০টির বেশি বই লিখেছেন তিনি।
সাহিত্যিক হিসেবে অ্যানির কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। তার কাজ এতটাই তথ্যভিত্তিক যে কিছু ইংরেজিভাষী সমালোচক ও প্রকাশক সেগুলোকে স্মৃতিকথা হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করতে চান। যদিও অ্যানি নিজে সবসময় বলেছেন, তিনি কথাসাহিত্য লেখেন।
অ্যানির বেশ কয়েকটি লেখা আত্মজৈবনিক। ১৯৭৪ সালে তার প্রথম বই লা আরমোরিস ভিদে ফরাসি ভাষায় প্রকাশিত হয়। ১৯৯০ সালে ইংরেজিতে বের হয় ক্লিনড আউট। তার উপন্যাস লা প্লেস (১৯৮৩) ব্যাপক পাঠকপ্রিয় হয়। তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেয় এ উপন্যাস। লা প্লেস-এ তার বাবার চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন। কীভাবে সমাজ তার বাবাকে গড়ে তুলেছিল, তা দেখিয়েছিলেন তিনি।
বেল কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'যে সাহস ও তীক্ষ্ণতার মাধ্যমে তিনি ব্যক্তিগত স্মৃতির শেকড়, বিচ্ছিন্নতা ও সম্মিলিত সংযম উন্মোচন করেছেন', সেজন্য নোবেল পেয়েছেন তিনি।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'অ্যানি মনে করেন, লেখালেখি হলো রাজনৈতিক কাজ। সমাজে যে অসাম্য আছে, তা আমাদের নজরে নিয়ে আসবে (লেখালেখি)। সেজন্য অ্যানি বলেছেন যে ভাষাকে ছুরির মতো ব্যবহার করেন তিনি, যা কল্পনার পর্দা ছিঁড়ে ফেলবে।'
এছাড়া, অ্যানি তার লেখায় ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লিঙ্গ, ভাষা, শ্রেণি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শক্তিশালী বৈষম্য চিহ্নিত করে জীবনকে পরীক্ষা করে দেখেছেন বলে মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'লেখালেখির শক্তির স্বতন্ত্রতায় বিশ্বাস করেন অ্যানি এর্নো। তার লেখালেখি কখনও আপস করেনি এবং একেবারে সাধারণ ভাষায় লেখা হয়েছে, একেবারে স্বচ্ছ ভাষায়।'
এর আগে ২০২১ সাহিত্যে নোবেল জিতেছিলেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আব্দুলরাজাক গুরনাহ। তার আগের বছর নোবেল পেয়েছিলেন মার্কিন কবি লুইস গ্লিক।