কর্ণাটক হিজাব নিষেধাজ্ঞা মামলা: ‘ভিন্ন মত’ দুই সুপ্রিম বিচারপতির
ভারতের কর্ণাটকে হিজাব নিষেধাজ্ঞার মামলাটি বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি বিভক্ত রায় পেয়েছে। একই মামলায় বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত হিজাব নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন; অন্যদিকে বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়াঁ হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন।
উপযুক্ত নির্দেশনার জন্য বিষয়টি এখন ভারতের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে।
বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা ২৬টি আপিলই খারিজ করে দিয়েছেন। তার রায় অনুযায়ী, হিজাব ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য অপরিহার্য নয়। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হিজাব নিষিদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছেন তিনি।
এদিকে বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়াঁ আবেদন অনুযায়ী হিজাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে রায় দেন।
মামলাটি এখন বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুনানি চলাকালীন ভারতের সলিসিটর জেনারেল তথা কর্ণাটক সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা দাবি করেন, কোরআনে উল্লেখ থাকলেই কোনো প্রথা জরুরি হয় না। শুধুমাত্র যে প্রথাগুলো নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে সেগুলো জরুরি বলে বিবেচনা করা হয়।
তিনি দাবি করেন, সংবিধানের ভিত্তিতে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এদিকে মামলার শুনানি চলাকালীন একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছিল শীর্ষ আদালত।
সেসময় বলা হয়, 'ক্লাসে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হলে তা দেশের বৈচিত্র্যকে তুলে ধরার একটি সুযোগ দিবে এবং এতে শিশুরা ছোট বয়স থেকেই দেশের বৈচিত্র্য সম্পর্কে অবগত থাকবে।'
প্রসঙ্গত, হিজাব বিতর্ক নিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারীরা।
কর্ণাটক হাইকোর্ট এর আগে রায় দেয়, হিজাব মুসলিমদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। সেক্ষেত্রে স্কুল বা কলেজের ইউনিফর্ম মেনেই তাদেরকে শ্রেণিকক্ষে বসতে হবে।
এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই শুনানি শেষ হয় আজ।