অব্যাহত রাশিয়ান হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিদ্যুৎখাত, একইসঙ্গে কমছে তাপমাত্রা
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলোতে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। রাতারাতি হামলায় এগুলো আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ইউক্রেনের ন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির বরাত দিয়ে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
এর ফলে দেশটির অনেক মানুষ বর্তমানে বিদ্যুৎ, পানি, ও ঘর হিটিং ব্যবস্থার অভাবে ভুগছেন।
'ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলের পাওয়ার গ্রিডের মূল নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে,' ফেসবুকে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউক্রেনার্গো।
এটি আরও জানিয়েছে বিদ্যুতের ওভারলোড কমাতে রাজধানী কিয়েভসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত করা হতে পারে।
বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে রাশিয়ার চলমান হামলার কারণে ইউক্রেন এখন নিয়মিত লোডশেডিংয়ের মুখে পড়ছে।
গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার মিসাইল ও ইরানের তৈরি ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের 'বিদ্যুৎখাতের এক তৃতীয়াংশের' বেশি ধ্বংস হয়ে গেছে।
চাপ কমাতে কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের বিদ্যুৎ ব্যবহার কমানোর আহ্বান করেছে। এমনকি যুদ্ধের কারণে যেসব ইউক্রেনীয় দেশের বাইরে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তাদেরকে এ শীতে দেশে না ফেরার জন্যও বলেছে তারা।
বিদ্যুতের অভাবে নানামুখী সংকটে অনেক ইউক্রেনীয়
বিদ্যুৎ ও পানির সংকটের পাশাপাশি ইউক্রেনীয়দের জন্য আরও যোগ হয়েছে হিটিং ব্যবস্থার অভাব। বিদ্যুতের অভাবে ঘর উষ্ণ করতে পারছেন না তারা।
আর ক্রমশ শীতকাল ঘনিয়ে আসছে দেশটিতে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিট্যারিয়ান অ্যাফেয়ার্স ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি।
বিদ্যুতের অভাকে ইউক্রেনের অনেক স্থানে পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ দেশটিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করা।
যুদ্ধক্ষেত্রের আশেপাশের যেসব মানুষ এখনো বাড়ি ছেড়ে যাননি, বৃদ্ধ, শারীরিকভাবে অক্ষম, এবং মারাত্মক অসুস্থ লোকেরা সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়তে পারেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
রেডক্রস জানিয়েছে, রাশিয়ার এ ধরনের আক্রমণের ফলে 'গভীর দুর্দশা'র মুখে পড়েছে ইউক্রেনের নাগরিকেরা। আর শীত বাড়লে এ সংকট আরও বেশি ঘনীভুত হবে তাদের জন্য।