৪ মিটার চওড়া গলিতে লাখখানেক লোক, যেভাবে পদদলিত হয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটল সিউলে
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে হ্যালোউইন উৎসবে পদদলিত হয়ে মর্মান্তিকভাবে ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
সরু গলিতে পার্টি করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগের বয়স ২০ বছরের কাছাকাছি। কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় মাদকের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তবে কী কারণে ঘটল দুর্ঘটনাটি?
ধারাবাহিকভাবে ঘটনাগুলোর উল্লেখ করা হলো এখানে:
১. হ্যামিল্টন হোটেলের কাছে ইটাওয়ানের একটি সরু গলিতে লক্ষাধিক লোক জড়ো হয়েছিলেন। কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর এটিই ছিল প্রথম হ্যালোউইন ইভেন্ট।
২. দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের মতে, রাত ১০টা ২২ মিনিটে প্রথম জরুরি অবস্থার খবর দেওয়া হয়।
৩. রিপোর্ট অনুযায়ী, এক লাখেরও বেশি লোক ওই সরু গলিতে ছিলেন। তাছাড়া হ্যামিল্টন হোটেল এবং ইটাওয়ানের সাবওয়ে স্টেশন থেকেও বিশাল ভিড় বেরিয়ে আসছিল বলে জানা যায়।
৪. কোরিয়ান গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে গলির আশেপাশের একটি স্থানে একজন 'সেলিব্রিটি' উপস্থিত হলে ভিড় বেড়ে যায়।
৫. সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে গলিপথে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সেটি মাত্র চার মিটার চওড়া। সেই সরু গলিতে কোনো সেডান গাড়িও ঢুকতে পারবে না।
৬. হুড়োহুড়িতে মানুষ একে অপরকে ধাক্কা দিতে থাকেন। ভিড়ের চাপে অনেকেই একে অপরের গায়ে পড়ে যান।
৭. এ সময় উপস্থিত জনতাদের অনেকে নিঃশ্বাস নিতে না পারা ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখান
৮. ভিড়ের কারণে আহতদের কাছে পৌঁছাতে বাধার মুখে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স। পুলিশ গাড়ির ছাদে উঠে মানুষদেরকে জায়গা খালি করতে বলে।
৯. এদিকে ঘটনাস্থলে তখনও অনেকেই নাচ-গানে মেতে ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারা উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি করছিল।
১০. অ্যাম্বুলেন্স তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পারায় জরুরি মেডিকেল সেবা দেওয়া ব্যক্তিরা আহতদের সিপিআর দিতে শুরু করেন।