মাস্টোডনের রমরমা: টুইটার ছেড়ে যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছুটছেন ব্যবহারকারীরা
টুইটার কিনে নিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। এরপর থেকেই টুইটার ছেড়ে মাস্টোডন নামের ছোট একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে সাইনআপ করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। খবর সিএনএনের।
২০১৬ সালে যাত্রা শুরু হলেও মাস্টোডনের নাম অপরিচিতই ছিল এতদিন। তবে চলতি সপ্তাহ থেকেই তরতর করে বড় হচ্ছে মাস্টোডন।
টুইটারের স্পষ্ট বিকল্প না থাকতে পারে, তবে মাস্টোডনের ইউজার ইন্টারফেস অনেকটাই টুইটারের মতো। তবে এই প্ল্যাটফর্মটি টুইটার, ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকের মতো একটিমাত্র কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয় না; এটি পরিচালনা করে বিভিন্ন গ্রুপ বা ব্যক্তি।
মাস্টোডন একদিকে যেমন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়, অন্যদিকে এতে নেই কোনো বিজ্ঞাপনের উৎপাতও।
মাস্টোডনের প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন রোচকো। নামটি দেওয়া হয়েছে হেভি মেটাল ব্যান্ড মাস্টোডনের নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। এটি চলে ক্রাউডফান্ডিং, অর্থাৎ মানুষের চাঁদায়।
বৃহস্পতিবার রোচকো এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২৭ অক্টোবর থেকে ওইদিন পর্যন্ত মাস্টোডনের ব্যবহারকারী ২ লাখ ৩০ হাজার বেড়েছে। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ লাখ ৫৫ হাজার। অন্যদিকে জুলাইয়ে টুইটারের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল প্রায় ২৩৮ মিলিয়ন।
রোচকো মাস্টোডনকে মূলত প্রকল্প হিসেবেই বানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, এটি টুইটারের মতো বড় নয়, তবে সম্প্রতি নেটওয়ার্কটির রেকর্ড সম্প্রসারণ হয়েছে।'
টুইটার থেকে বেশ কয়েকটি বড় নাম যোগ দিয়েছে মাস্টোডনে। যেমন নভেম্বরের শুরুতেই টুইটার ছেড়ে মাস্টোডনে সাইনআপ করেছেন কমেডিয়ান ক্যাথি গ্রিফিন। অক্টোবরের শেষ দিকে যোগ দিয়েছেন সাংবাদিক মলি জং-ফাস্ট। দুজনেরই টুইটারের বিপুলসংখ্যক অনুসারী ছিল।
মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণ করার পর ৩০ অক্টোবর মাস্টোডনে যোগ দেন ইউসিএলএর সহযোগী অধ্যাপক সারাহ টি. রবার্টস। তিনি চলতি বছরের শুরুর দিকে টুইটারে স্টাফ গবেষক হিসেবে কাজ করতেন। টুইটারে তার অনুসারী ছিল ২৩ হাজার। মাস্টোডনে যোগ দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে রবার্টসের অনুসারীর সংখ্যা ১ হাজারে দাঁড়িয়েছে।