চীনে আবারও ধেয়ে আসছে কোভিড, একদিনে আক্রান্ত ৩.৭ কোটি
চীনে আবারও ধেয়ে আসছে কোভিড-১৯ মহামারি। দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী, চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনেই চীনে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি মানুষ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) ব্লুমবার্গ নিউজ এবং দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের জনসংখ্যার ১৮ শতাংশই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন বিগত এই কয়েকদিনে। এর আগে, দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। আগামীতে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে চলেছে বলে সতর্ক করা হচ্ছে। জানুয়ারি শুরু হতে হতে চীনে দৈনিক সংক্রমের হার ৪ কোটি ছুঁতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু গত মঙ্গলবারেই (২০ ডিসেম্বর) চীনে ৩.৭ কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে চীনের সরকারি হিসাব বলছে, সেদিন দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৪৯ জন। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনের দাবি, চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের এক বৈঠক থেকে এ তথ্য মিলেছে।
চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের উপ-পরিচালক সান ইয়াং এক ব্রিফিংয়ের সময় এ তথ্য তুলে ধরেন বলে উল্লেখ করা হয় দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে।
চীনা কর্মকর্তাদের দাবি, রাজধানী বেইজিংয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। ভয়াবহ হারে কোভিড ছড়িয়ে পড়ছে শহরটিতে। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের হার। এবার শুধু শহর নয়, সংক্রমণের ঢেউতে এবার শহুরে এলাকা ছাড়িয়ে গ্রামীণ অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে, করোনায় প্রধানত চীনের শহরাঞ্চলই আক্রান্ত হয়েছিল।
সম্প্রতিকালে প্রকাশিত বেশ কিছু প্রতিবেদনের দাবি, আগামী কয়েক মাসে চীনে কোভিড-১৯ এর অন্তত তিনটি ঢেউ দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি আরও দাবি করা হয়েছে, এ সময় প্রায় ১০ লাখ মানুষ সংক্রমণে প্রাণ হারাতে পারেন।
এমন পরিস্থিতিতে চীনে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু রেকর্ড করার পদ্ধতিতে পরিবর্ত আনা হয়েছে। কেবল সেই সব রোগীকেই কোভিডে মৃত বলে গোনা হচ্ছে, যাদের কোভিড পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে এবং নিঃশ্বাসজনিত সমস্যার কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য দেশে সাধারণত এ পদ্ধতিতে কোভিড মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করা হয় না।
এদিকে বুধবারের ব্রিফিংয়ে উপস্থাপনকৃত প্রতিবেদনে চীনে কতজন লোক এ পর্যন্ত মারা গিয়ে থাকতে পারে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।