ভারত মোট তেল আমদানির ২৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে করছে
২০২২ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি আরো বেড়েছে ভারতের। ঐ মাসে তা প্রথমবারের মতো দিনে ১০ লাখ ব্যারেল ছাড়িয়ে যায়, ফলে টানা তৃতীয় মাসের ন্যায় দিল্লির শীর্ষ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারকের অবস্থান ধরে রাখে মস্কো। জ্বালানি চালান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা– ভরটেক্সার দেওয়া তথ্যানুসারে এবিষয়ে জানা গেছে। খবর রয়টার্সের
গত বছরের মার্চে ভারতের মোট অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) আমদানির মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ করা হয়েছিল রাশিয়া থেকে। সে তুলনায়, ডিসেম্বরে প্রতিদিন ১১ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল আমদানি করেছে।
আগের মাস নভেম্বরে, রাশিয়া থেকে ভারতের দৈনিক আমদানি ছিল গড়ে ৯ লাখ ৯ হাজার ৪০৩ ব্যারেল। আর অক্টোবরে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৬ ব্যারেল।
এর আগে সর্বোচ্চ রাশিয়ান তেল আমদানির রেকর্ড হয় ২০২২ সালের জুনে। ঐ মাসে ভারত দিনে ৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৪ ব্যারেল আমদানি করে বলে জানিয়েছে ভরটেক্সা।
২০২২ সালের অক্টোবরে ভারতের প্রথাগত শীর্ষ তেল সরবরাহকারী সৌদি আরব ও ইরাককে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো শীর্ষস্থান দখল করে রাশিয়া। বর্তমানে ভারতের মোট আমদানিকৃত তেলের ২৫ শতাংশই দেশটি সরবরাহ করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন সমুদ্রপথে পরিবহন করা রাশিয়ার তেলে মূল্যসীমা আরোপের বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছায়, সে সময়েই আমদানি বাড়ায় নয়াদিল্লি। তেল শিল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে ইইউ নির্ধারিত মূল্যসীমার চেয়েও অনেক কম দামে, বা প্রতিব্যারেল ৬০ ডলারের নিচে রাশিয়ার তেল কেনা যাচ্ছে। ভারত এ সুযোগটাই গ্রহণ করেছে।
ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ জ্বালানি তেল ব্যবহারকারী ও আমদানিকারক দেশ। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল চাহিদার মোট ৮৫ শতাংশই তারা আমদানি করে। পরে তা স্থানীয় রিফাইনারিগুলোতে পরিশোধন করে ডিজেল ও পেট্রলের মতোন নানান জ্বালানি তেল তৈরি করা হয়।
এনার্জি ইন্টেলিজেন্স ফার্ম– ভরটেক্সা আরো জানায়, ডিসেম্বরে ইরাক থেকে দৈনিক ৮ লাখ ৩ হাজার ২২৮ ব্যারেল ক্রুড আমদানি করে ভারত, আর সৌদি আরব থেকে করে ৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৭ ব্যারেল। একইসময়, যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে ভারতের চতুর্থ বৃহৎ সরবরাহক হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পারস্য উপসাগরীয় দেশটি ডিসেম্বরে ভারতে দৈনিক ৩ লাখ ২৩ হাজার ৮১১ ব্যারেল তেল বিক্রি করেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করেছে দৈনিক ৩ লাখ ২২ হাজার ১৫ ব্যারেল, যা নভেম্বরের ৪ লাখ ৫ হাজার ৫২৫ ব্যারেলের তুলনায় অনেকটাই কম।