এশিয়া ও ইউরোপের জন্য তেলের দাম বাড়ালো সৌদি আরব
ইউরোপ ও এশিয়ায় অপরিশোধিত তেলের শিপমেন্টের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে সৌদি আরব জানান দিলো তারা এই দুই অঞ্চল থেকে তেলের বাড়তি চাহিদা দেখতে পেয়েছে।
বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতির কারণে তেলের চাহিদায় প্রভাব পড়ায় অনেক বিশেষজ্ঞ এ বছর তেলের দাম কমে আসবে জানালেও চীন করোনাভাইরাস লকডাউন উঠিয়ে নিয়ে তাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরুর পর তেলের দাম বেড়েই চলেছে, যেটি প্রতি ব্যারেল ১০০ মার্কিন ডলারেও পৌঁছাতে পারে।
এশিয়া অঞ্চলে এপ্রিল মাসের জন্য সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সৌদি আরামকো আনুষ্ঠানিকভাবে দাম বাড়িয়েছে। কোম্পানির মূল পণ্য আরব লাইট গ্রেডের তেলের দাম আঞ্চলিক বেঞ্চমার্ক থেকে ব্যারেলপ্রতি আড়াই ডলার বাড়ানো হয়েছে, যা মার্চ মাসের তুলনায় ৫০ সেন্ট বেশি। এটি টানা দ্বিতীয় মাস, যেখানে সৌদি আরব তাদের বৃহত্তম বাজার এশিয়ায় তেলের দাম বাড়িয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে দাম একই রাখা হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের জন্যও ব্যারেলপ্রতি ১.৩০ ডলার দাম বাড়ানো হয়েছে।
অন্যদিকে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম গত বছরের তুলনায় ১% কমে ব্যারেলপ্রতি ৮৫ ডলারের সামান্য বেশি দামে রয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই দাম ব্যারেলপ্রতি ১১৫ ডলাড় ছুঁয়ে ফেলে।
আরামকোর শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন নাসের মার্চের ১ তারিখ রিয়াদে ব্লুমবার্গ প্রতিনিধিকে জানান, "চীনের চাহিদা প্রচণ্ড বেশি। ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রও প্রচুর চাহিদা রয়েছে।"
সৌদি আরব বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ এবং রাশিয়ার সাথে ওপেক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ২৩ দেশের এই জোট জানিয়েছে, কমপক্ষে আগামী বছরের আগপর্যন্ত তারা তেল উৎপাদন বাড়াবে না।
আরামকো তাদের অপরিশোধিত তেলের ৬০%- এশিয়াতে বিক্রি করে, যেগুলো দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। একইসাথে প্রতি মাসে তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। আরামকোর কাছ থেকে তেল কেনা এশীয় দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারত।
সাধারণত ইরাক এবং কুয়েতের মতো অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর দাম ঘোষণার পর সেটিকে অনুসরণ করে কোম্পানিটি তাদের তেলের দাম নির্ধারণ করে।
সূত্র: ব্লুমবার্গ