মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন শাস্তি আইনে পরিবর্তন আনল মালয়েশিয়া
বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল, মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধের সংখ্যা কমানো, ও আমৃত্যু কারাদাণ্ড বিলোপ করে সোমবার (২ এপ্রিল) নতুন সংশোধনী পাস করেছে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট। খবর রয়টার্স-এর।
২০১৮ সাল থেকে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত ছিল। ওই সময় মৃত্যুদণ্ড পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সরকার তখন বিভিন্ন দলের কাছ থেকে এ বিষয়ে রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হয়।
তখন সরকার বলেছিল, তারা মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখবে, তবে বিচারকেরা যাতে মৃত্যুদণ্ডের বদলে অন্য শাস্তি দিতে পারেন, তার ব্যবস্থাও রাখা হবে।
বর্তমান সংশোধনীতে মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প হিসেবে বেত্রাঘাত ও ৩০-৪০ বছরের মতো কারাবাসের নিয়ম রাখা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সময়সীমা ৩০ বছর, যা বর্তমান সংশোধনীতে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
যেসব মারাত্মক অপরাধ যেমন অপহরণ, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও পাচার ইত্যাদির কারণে কারও মৃত্যু হয় না, সেসবের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড রদ করা হবে।
মালয়েশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোতে অবশ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ বেড়ে গেছে। গত বছর সিঙ্গাপুর মাদকজনিত অপরাধে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। জান্তা সরকারশাসিত মিয়ানমার কয়েক দশক পরে জান্তাবিরোধী চার কর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
মালয়েশিয়ার উপ-আইনমন্ত্রী রামকারপাল সিং বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডের আজ্ঞা কোনোভাবে রদ করা যেত না এবং অপরাধ কমাতে এটি বেশি কার্যকরী ছিল না।
বর্তমানে দেশটিতে ৩৪টি অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ তালিকায় আছে হত্যা ও মাদক পাচারও। এসবের মধ্যে ১১টি অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড বাধ্যতামূলক ছিল।
এ ৩৪টি অপরাধের জন্য বর্তমান সংশোধনীটি প্রযোজ্য হবে।
নতুন আইন অনুযায়ী বর্তমানে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও আমৃত্য কারাদণ্ডাদেশের সাজা ভোগকারী ১৩০০-এর বেশি অপরাধী তাদের রায় পর্যালোচনার আবেদন করতে পারবেন।