ফ্রান্সে দাঙ্গা: ষষ্ঠ দিনে গড়ালো অস্থিরতা, আটক ৭৮
ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় চলমান দাঙ্গা ষষ্ঠ দিনেও অব্যাহত রয়েছে। রোববার (২ জুলাই) রাত থেকে শুরু করে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৭৮ জনকে আটক করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
এরমধ্যে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে প্যারিসের শহরতলি থেকে।
এদিকে, নিহত কিশোর নাহেলের (১৭) এক আত্মীয় বিবিসিকে বলেছেন, তার মৃত্যুর পর তারা কোনো দাঙ্গা-অস্থিরতা চাননি। বরং, ট্রাফিক স্টপেজে প্রাণঘাতী বল প্রয়োগের আইনে পরিবর্তন চেয়েছেন তারা।
গত মঙ্গলবার প্যারিসের একটি শহরতলীর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় নাহেল। তার বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগ আনে পুলিশ।
এরপরই শুরু হয় দাঙ্গা, যা চলছে টানা ছয়দিন ধরেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাহেলের আত্মীয়রা বিবিসিকে বলেন, "আমরা [নাহেলের মৃত্যুর পর] ভাঙচুর করতে বা চুরি করতে বলিনি। এর কোনোটাই নাহেলের জন্য নয়," বলেন তারা।
তারা আরো বলেন, নাহেলের মৃত্যুর পর তারা সড়কে একটি 'হোয়াইট মার্চের' ডাক দিয়েছিলেন। তার স্মরণে আয়োজিত সেই পদযাত্রায় কোনো ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শন চাননি তারা।
আত্মীয়দের দাবি, ট্রাফিক স্টপে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের এ আইন পরিবর্তন করতে হবে ফরাসি কর্তৃপক্ষকে।
২০১৭ সালে ফ্রান্সের পেনাল কোড পরিবর্তিত হয়। এই সংস্করণেই পুলিশকে ট্রাফিক স্টপেজে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।
চলতি বছরের বিগত ছয় মাসে ট্রাফিক স্টপে পুলিশের হাতে তিনজন নিহত হয়েছে।
গত বছর ট্রাফিক স্টপ কেন্দ্রিক ঘটনায় রেকর্ড ১৩ জন নিহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স থেকে জানা গেছে, নিহতদের বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ কিংবা আরব বংশোদ্ভূত।