বছরের প্রথম ৬ মাসে শীর্ষ ধনীদের পকেটে ঢুকেছে ৮৫২ বিলিয়ন ডলার
ব্লুমবার্গ-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিশ্বের ৫০০ জন ধনীর ব্যক্তিগত সম্পদে আরও ৮৫২ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হয়েছে। ২০২০ সালের শেষার্ধের পর যা তাদের সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড। গত ছয় মাসে ফোর্বস-এর তালিকায় থাকা এসব ধনকুবেরেরা গড়ে প্রতিদিন ১৪ মিলিয়ন ডলার কামিয়েছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের সম্পদে এমন বৃদ্ধি ঘটেছে শেয়ারবাজারের ভালো অবস্থানের কারণে। ধারাবাহিক সুদের হার বৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব কিংবা ব্যাংকিং সংকটের মধ্যেও বিনিয়োগকারীরা এই ছয় মাসে থেমে থাকেননি।
এসময় মার্কিন শেয়ারবাজার নাসডাক ৩৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি দেখেছে। বেশিরভাগ হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উন্মাদনা ও প্রযুক্তি খাতের শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির কারণে। যার কারণে ইলন মাস্ক এবং জার্ক জাকারবার্গ আরও অর্থ কামিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
বার্নার্ড আর্নল্টকে পেছনে ফেলে ধনীদের তালিকায় শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করা ইলন মাস্কের সম্পদ এই ছয় মাসে বেড়েছে ৯৬.৬ বিলিয়ন। আর ৫৮.৯ বিলিয়ন ডলার আয় করে আবারও শীর্ষ দশে ফিরেছেন জাকারবার্গ। গত বছরের শেষে তিনি শীর্ষ ২০ থেকে বাদ পড়েছিলেন।
টেসলার প্রধান নির্বাহী আর ফেসবুকের প্রতিষ্ঠা সাম্প্রতিক সময়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে খবরে এসেছেন। জাকারবার্গ মাস্কের টুইটারের বিকল্প নতুন সামাজিক মাধ্যমের ঘোষণার পর থেকে দুজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে।
ইলন মাস্কের সম্পর্কে জাকারবার্গের একটি সমালোচনামূলক মন্তব্য ফাঁস হয়ে যায়। মাস্ক দ্রুত ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতাকে একটি লড়াইয়ের জন্য চ্যালেঞ্জ করেন। নেটিজেনদের আনন্দ দিতে জাকারবার্গ তা গ্রহণ করেছেন বলেও মনে হচ্ছে। সে লড়াই বাস্তবে হোক বা না হোক, সম্পদ দিয়ে জাকারবার্গকে ঠিকই হারিয়েছেন মাস্ক।