আটলান্টায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ট্রাম্পের ঐতিহাসিক মাগশট প্রকাশ
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ফলাফলে হস্তক্ষেপের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরে তাকে জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টি কারাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং তার মাগশট (মুখমন্ডলের ছবি) প্রকাশ করা হয়। খবর বিবিসির।
ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যার মাগশট প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে আত্মসমর্পণের পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ট্রাম্প। তার জামিনে মুচলেকার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০,০০০ ডলার।
এ নিয়ে ফৌজদারি মামলায় গত পাঁচ মাসে চতুর্থবারের মতো গ্রেপ্তার হলেন ট্রাম্প। তবে গ্রেপ্তারের পর এবারই প্রথম তার মাগশট প্রকাশ করা হলো। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ট্রাম্প এই মামলাকে 'ন্যায়বিচারের নামে প্রতারণা' বলে অভিহিত করেছেন।
পরবর্তীতে ট্রাম্প এক্স-এ (প্রাক্তন নাম টুইটার) নিজের ওয়েবসাইটের ঠিকানা এবং মাগশট পোস্ট করেন, সঙ্গে বড় হাতের অক্ষরে ক্যাপশনে লেখেন- "নির্বাচনে হস্তক্ষেপ। কখনোই আত্মসমর্পণ নয়!" উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালের জানুয়ারির পর এই প্রথম এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিতে পোস্ট করেছেন ট্রাম্প।
এদিকে, মাগশট প্রকাশের পর জনপ্রিয় কিছু মার্কিন ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে একই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেন ট্রাম্প, যাদের কিনা গ্রেপ্তারের পর মাগশট প্রকাশিত হয়েছিল। এই তালিকায় রয়েছেন এলভিস, ফ্রাংক সিনাত্রা, অ্যাল কাপোন এবং ডা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।
বৃহস্পতিবার আটলান্টার ফুলটন কাউন্টির একটি কারাগারে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ট্রাম্প। প্রায় ২০ মিনিটের মতো কারাগারে ছিলেন তিনি। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই কারাগারের বাইরে তার সমর্থকদের ভিড় জমে গিয়েছিল।
কারাগারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে ট্রাম্পকে একজন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ, যার উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি, ওজন ৯৭ কেজি, চুলের রঙ ব্লন্ড বা স্ট্রবেরি এবং চোখের রঙ নীল বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তার বন্দী নম্বর ছিল পি০১১৩৫৮০৯।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, কারণ আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনিই রিপাবলিকানদের মধ্যে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
কারাগারে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করতেই হতো তাকে। "আমার বিশ্বাস ছিল, নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছে, চুরি হয়েছে। তাই আমার এটাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর অধিকার ছিল", বলেন ট্রাম্প।