জেনেটিক পরীক্ষায় প্রিগোজিনের মৃত্যু নিশ্চিত করল মস্কো
জেনেটিক পরীক্ষার পর ভাগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মৃত্যু ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে রোববার জানিয়েছেন রাশিয়ার এক কর্মকর্তা।
তদন্ত কমিটি বলেছে, গত বুধবার রাশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০ জনের প্রত্যেকের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত বুধবার উত্তর-পশ্চিম মস্কোতে বিধ্বস্ত হয় প্রিগোজিনের ব্যক্তিগত জেট। এতে সব যাত্রীর মৃত্যু হয়।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে হাত থাকার সব ধরনের গুজব উড়িয়ে দিয়েছে ক্রেমলিন।
উল্লেখ্য, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন প্রিগোজিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেখানে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন ভাগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোশিনের। তার জেরে গত ২৩ জুন বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোশিন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করেন। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় অভিযান বন্ধের ঘোষণা দেন প্রিগোশিন।
এই ব্যর্থ বিদ্রোহের পর অনেকেই ধারণা করছিলেন, প্রিগোজিনকে হত্যা করা হতে পারে। যদিও তিনি মারা যাওয়ার পর মস্কো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে প্রিগোজিন নিহত হওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তাকে নিয়ে নিরবতা ভাঙেন পুতিন। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান পুতিন।
ভাগনারপ্রধানের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, 'আমি প্রিগোজিনকে অনেক আগে থেকেই চিনতাম; প্রায় ১৯৯০-এর দশকের শুরু থেকে। জটিলতায় ভরা ভাগ্যের অধিকারী ছিলেন তিনি। তবে জীবনে তিনি গুরুতর কিছু ভুলও করেছিলেন।'
পুতিন আরও বলেন, 'প্রিগোজিন প্রতিভাবান ব্যক্তি, প্রতিভাবান ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি কেবল আমাদের দেশেই সফলতার সাথে কাজ করেননি। পাশাপাশি বিদেশেও, বিশেষ করে আফ্রিকাতে তার কাজের পরিধি বিস্তৃত ছিল।'