ভারত-মধ্যপ্রাচ্য অর্থনৈতিক করিডর প্রাচীন লোহিত সাগরকে পুনরুজ্জীবন দেবে: উইলিয়াম ড্যালরিম্পল
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ড্যালরিম্পল বলেছেন, জি২০ সম্মেলনে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য অর্থনৈতিক করিডরের ঘোষণা দেওয়ার ফলে ভারত থেকে মিসর পর্যন্ত বিস্তৃত প্রাচীন লোহিত সাগর (রেড সি) আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাবে। এই লাল সাগরের কথা তিনি তার নতুন বই 'দ্য গোল্ডেন রোড'-এও উল্লেখ করেছেন বলে জানান।
এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে উইলিয়াম ড্যালরিম্পল বলেন, জি২০ সম্মেলনে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য অর্থনৈতিক করিডরের ঘোষণায় মনে হচ্ছে ভারত থেকে মিসর পর্যন্ত লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়া প্রাচীন বাণিজ্য রুট, যা দ্য গোল্ডেন রোড নামে পরিচিত, ফের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব ফিরে পাবে।
দ্য নিউইয়র্ক পোস্টে 'গরম মাসালা' শিরোনামের একটি বই পর্যালোচনায় ড্যালরিম্পল লিখেছেন, ২০২২ সালের মার্চে একদল মার্কিন নৃবিজ্ঞানী মিসরীয় দেবী আইসিসের একটি মন্দির খনন করছিলেন। জায়গাটি বর্তমান মিসরে লোহিত সাগরের তীরে বেরেনিকে অবস্থিত।
শিগগিরই রেলপথ ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপকে নিয়ে চালু হবে রেল ও জাহাজ চলাচলের অর্থনৈতিক করিডর চালু হবে। এই ঐতিহাসিক করিডরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইইউ, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন জি২০ সম্মেলন চলাকালে এই প্রকল্পের ঘোষণা দেন।
হোয়াইট হাউসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জর্ডান ও ইসরায়েল হয়ে ভারতকে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করবে এই জাহাজ ও রেল চলাচলের পথ।
উরসুল ভন ডার লিয়েন বলেছেন, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপের অর্থনৈতিক করিডর ভারত ও ইউরোপের মধ্যকার বাণিজ্যের গতি ৪০ শতাংশ বাড়াবে।
এ প্রকল্পের লক্ষ্য ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, ইসরায়েল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রেল ও সমুদ্রপথে সংযুক্ত করা। এই করিডর হলে একদিকে বাণিজ্য বাড়বে, অন্যদিকে শক্তি, সম্পদ বিনিময় ও ডিজিটাল যোগাযোগও বহুগুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া এই করিডর এ অঞ্চলের বাণিজ্য খরচ অনেকটাই কমিয়ে দেবে। এতে উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ।