কর ফাঁকি মামলায় নোবেলজয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসাকে খালাস
ফিলিপাইনের নোবেলজয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং তার সংবাদ প্রতিষ্ঠান র্যাপলারকে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) আরেকটি কর ফাঁকি মামলায় অব্যাহতি দিয়েছেন দেশটির আদালত। খবর রয়টার্সের।
রেসার এ অব্যাহতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আইনি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২১ সালে আরেকজন রাশিয়ান সাংবাদিকের সাথে শান্তিতে নোবেল জেতেন মারিয়া। রেসা এবং তার নিউজ সাইট র্যাপলার ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের রেসা বলেন, তার বেকসুর খালাস দেশটির ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর জন্য ইতিবাচক বার্তা প্রেরণ করবে।
রেসা আরও বলেন, "এই অব্যাহতি প্রমাণ করে যে আদালত ব্যবস্থা এখনও তৎপর। বাকি অভিযোগগুলোও খারিজ হয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।"
নয় মাস আগেও একই ধরনের আরেকটি কর মামলায় অব্যাহতি পেয়েছিলেন মারিয়া রেসা।
২০১৮ সালে ফিলিপাইন সরকার মারিয়া রেসা এবং র্যাপলারের বিরুদ্ধে কর জালিয়াতির মামলা দায়ের করে।
অভিযোগ আনা হয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে লেনদেনের যে রসিদ দেখানো হয়েছে তাতে করযোগ্য আয় থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি সে আয় প্রদর্শন করেনি।
২০২০ সালে ফিলিপাইনের সরকারী সংস্থাগুলো তার নিউজ সাইটের বিরুদ্ধে সাইবার মানহানির একাধিক মামলাও দায়ের করে। তবে রেসা সেই মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন।
৫৯ বছর বয়সী এই গণমাধ্যমকর্মী বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
১৪ মাস ধরে ক্ষমতায় থাকা ফিলিপাইনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র অবশ্য বলেছেন তিনি আদালতে র্যাপলারের বিরুদ্ধে মামলাগুলোয় হস্তক্ষেপ করবেন না।
রেসার আইনজীবীদের একজন ফ্রান্সিস লিম জানান, তাদের আশা ছিল সর্বশেষ অব্যাহতির রায়টি অন্যান্য মামলাও খারিজ করে দেবে।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৩২তম অবস্থানে রয়েছে ফিলিপাইন। সরকারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে আক্রমণ, সাংবাদিকদের সমালোচনা এবং ক্রমাগত হয়রানি সত্ত্বেও দেশটির গণমাধ্যমকে অত্যন্ত প্রাণবন্ত (ভাইব্রেন্ট) হিসেবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে সূচকে।