'সাগরের মধ্যে বিন্দু': মিশর থেকে ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় ঢুকতে শুরু করেছে
মিশর ও গাজার রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে এবং ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে শুরু করেছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এমন মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে এই প্রাথমিক সহায়তা 'সমুদ্রের মধ্যে একটি বিন্দুর সমান'।
২০টি ট্রাককে মিশর গেইট ও ফিলিস্তিনি গেইটের মধ্যবর্তী স্থানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন ট্রাকগুলোকে গাজায় জাতিসংঘের গুদামে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে বিতরণ করা হবে গাজা উপত্যকাজুড়ে।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক কিন্ডি ম্যাককেইন ২০ ট্রাক ত্রাণকে স্বাগত জানান তবে এতটুকু যথেষ্ট নয় বলে সতর্ক করেন তিনি।
ম্যাককেইন বলেন, গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ। খাবার, পানি, বিদ্যুৎ কিচ্ছু নেই। যা পরবর্তীতে আরো বিপর্যয়ের, অনাহারের এবং আরো বহু রোগের কারণ হতে পারে। আমাদের আরো ট্রাক প্রয়োজন। নিরাপদ এবং টেকসই উপায়ে সঠিক সুবিধাভোগীদের জন্য সাহায্য পৌঁছানো নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ত্রাণবাহী ট্রাকের সংখ্যা নিয়ে হতাশা দেখা গেছে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে ১০০ ট্রাক ত্রাণ আসার কথা থাকলেও ২০টি ট্রাক আসায় তারা মর্মাহত।
এক ফিলিস্তিনি বলেন, আমরা খাদ্য ও প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জাম আনাকে স্বাগত জানাই। তবে জ্বালানি সরবরাহ না আসা বেশি উদ্বেগের। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে পাঁচটি হাসপাতালে সেবা দেওয়া বন্ধ আছে। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে আরো দুটি শিঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রথম দফা ত্রাণ পাঠানোর পর জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, এটাই যাতে শেষ না হয়।
তিনি বলেন, গাজার মানুষদের কাছে নিয়মিত প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ শুরুর বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, নির্দোষ মানুষের কষ্ট লাঘবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক ধাপ।
এদিকে ইসরায়েল-হামাদ যুদ্ধ থামানোর চেষ্টায় মিশরের কায়রোতে শনিবার (২১ অক্টোবর) শান্তি সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে যোগ দিতে শুরু করেছেন বিশ্বের শীর্ষ অনেক নেতা।