গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের মধ্যে সীমিত পরিসরে যুদ্ধ, এক ইসরায়েলি সেনা নিহত
রোববার (২২ অক্টোবর) গাজার অভ্যন্তরে হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সীমিত পরিসরে যুদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যেই ফিলিস্তিনে বিমান হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
হামাস দাবি করেছে, তাদের যোদ্ধারা খান ইউনিস শহরের কাছে এক অতর্কিত হামলায় দুটি ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার ও একটি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে। এর ফলে ইসরায়েলি সেনারা তাদের যান ছাড়াই পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ) এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
গাজায় আইডিএফ যখন স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই মুহূর্তে এ সংঘাত ঘটল।
এছাড়াও আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার গাজা উপত্যকায় অভিযানে হামাসের ছোড়া অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। আইডিএফও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইডিএফ গাজায় অভিযান চালালে হামাস যোদ্ধাদের পাল্টা আক্রমণের শিকার হয়ে ওই ফিলিস্তিনি সেনা নিহত হন।
হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড তাদের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, রোববারের হামলায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন। এতে ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটে ইসরায়েলে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, হামাসের হামলায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত, আরেকজন গুরুতর আহত এবং আরও দুজন স্বল্প আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, এ অভিযানের লক্ষ্য ছিল গাজার খান ইউনিস এলাকায় হামাসের হাতে বন্দি ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা এবং হামাসের অবকাঠামো ধ্বংস করা।
এদিকে ইসরায়েলকে গাজায় স্থল অভিযান বিলম্বিত করার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি ও অন্যান্য নাগরিকদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা এবং অবরুদ্ধ গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আরও সময় পেতে যুক্তরাষ্ট্র এমন পরামর্শ দিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলার পরপরই ২২ লাখ মানুষের আবাসস্থল গাজা উপত্যকায় পানি, বিদ্যুৎ ও খাবার সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল সরকার। ২০০৭ সাল থেকে ইসরায়েলের হাতে অবরুদ্ধ বিশ্বের অন্যতম দারিদ্র্যপীড়িত এই উপত্যকায় মানবিক সংকট এখন চরমে।
হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এ সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৫১ জনে; আহত হয়েছে অন্তত ১৪ হাজার ২৪৫ জন। অন্যদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে।