গাজার হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সবহরে ইসরায়েলি হামলায় বহু হতাহতের আশঙ্কা
ইসরায়েল গাজার একাধিক হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করেছে। পৃথক এসব হামলায় অনেকেই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) আল-শিফা হাসপাতালের গেটে একটি অ্যাম্বুলেন্সবহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া এদিন এর আগে আল-রশীদ সড়কে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা চালায় দেশটি।
এদিকে উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হসপিটালের কাছে পৃথক হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। অপর আরেকটি হামলায় গাজার উপকূলীয় সড়ক ধরে দক্ষিণে সরে যাওয়ার সময় শিশুসহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
১৫–২০ জন গুরুতর আহত ব্যক্তিকে নিয়ে রাফা ক্রসিংয়ের দিকে যাওয়ার সময় আল-শিফা হাসপাতালের গেটে একটি অ্যাম্বুলেন্সবহরের ওপর হামলা করে ইসরায়েল।
আল জাজিরাকে আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সিলমেয় বলেন, হাসপাতালটির অবস্থা শোচনীয় পর্যায় পার করে গিয়েছে।
'আমদের মেডিকেল রসদ শেষ, বিপুলসংখ্যক আহতদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জেনারেটরগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে,' বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের মর্গে আর জায়গা নেই। 'আমরা এখন মরদেহগুলো ফ্রিজার ট্রাকে রাখছি,' বলেন এ পরিচালক।
'আমরা সারাবিশ্বের কাছে সাহায্য চাইছি,' আবু সিলমেহ বলেন। 'আপনাদের যদি ইচ্ছে হয় আমাদের বাকি যা আছে তাও শেষ করে দেবেন, তাহলে স্রেফ আমাদের জানান। এ হাসপাতাল ভেঙে পড়লে সমস্ত স্বাস্থ্যখাত ভেঙে পড়বে।'
উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হসপিটালের কাছে নতুন করে হামলার কথা জানিয়েছে আল জাজিরা। হাসপাতালটির পরিচালক আতেফ-আল-কালুত কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটিকে বলেন, হাসপাতালটিতে ইতোমধ্যে কয়েক ডজন নিহতকে আনা হয়েছে।
আল জাজিরার ঘটনাস্থলের ফুটেজে দেখা গেছে, মোবাইলের বাতি ব্যবহার করে উন্মত্তের মতো ধ্বংসস্তূপ হাতড়াচ্ছেন মানুষ।
এদিকে শুক্রবার এক বক্তৃতায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন, আঞ্চলিক যুদ্ধ থামাতে চাইলে গাজায় যুদ্ধ থামাতে হবে। তিনি আরও বলেন, হিজবুল্লাহ সব ধরনের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত।
একইদিন এক টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন: 'জিম্মিদের ফেরত দেওয়ার বিষয় যুক্ত নেই, এমন সাময়িক যুদ্ধবিরতিকে প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল।'