‘আমরা মৃত্যু থেকে কয়েক মিনিট দূরে': গাজার আল-শিফা হাসপাতালে হামলা
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এবার গাজার আল-শিফা হাসপাতালেও হামলা চালাচ্ছে। অথচ উপত্যকাটির সবচেয়ে বড় এই হাসপাতাল কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে হাজার হাজার আহত ও বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা।
ঘটনাটি সম্পর্কে আল-শিফা হাসপাতালের ডিরেক্টর মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, "আমরা মৃত্যু থেকে কয়েক মিনিট দূরে আছি।"
একইসাথে আবু সালমিয়া জানান, হাসপাতালের বিল্ডিংগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। কম্পাউন্ডের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদেরকে ইসরায়েলি স্নাইপার দিয়ে হামলা করা হচ্ছে। একইসাথে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় অপারেশন পর্যন্ত স্থগিত করতে হয়েছে।
আবু সালমিয়া বলেন, "মেডিকেল ক্রুর একজন সদস্য সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুদের দেখভাল করতে ইনকিউবেটরের কাছে যাচ্ছিলেন। ঠিক ঐ মুহূর্তেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।"
গাজার উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ ইউসুফ আবু আল-রিশ বর্তমানে আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরেই অবস্থান করছেন। তিনি জানান, সব জেনারেটর বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। একইসাথে হাসপাতালের বিদ্যুতও নেই।
আবু আল-রিশ বলেন, "আমাদের ইনকিউবেটরে ৩৯ টি নবজাতক রয়েছে। এই শিশুরা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। কম্পাউন্ড এলাকায় চারপাশ থেকে স্নাইপার তাক করা রয়েছে। যার ফলে হাসপাতালের ভেতরে থাকা লোকজন অবাধে চলাফেরা করতে পারছে না।"
আবু আল-রিশ আরও বলেন, "হাসপাতালের আশেপাশে ভয়ঙ্কর গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে কয়েক মিনিট আগে একটি মর্টার শেল পাওয়া গিয়েছে। মেঝের সর্বত্র রক্ত, কিন্তু আমরা সেটিকে পরিষ্কারও করতে পারছি না।"
এদিকে ডক্টরস উইথআউট বর্ডার নিশ্চিত করেছে যে, প্রকৃতপক্ষেই আল-শিফা হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় লোকজনকে গুলি করা হয়েছে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে মাইক্রো-ব্লগিং সাইট এক্স এ বলা হয়, "আল-শিফা হাসপাতাল থেকে লোকেরা পালানোর চেষ্টা করার সময় যে গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, সেটি আমাদের কর্মীরা দেখেছে।"
এদিকে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে , ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি আল-কুদস হাসপাতাল থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরত্বে ছিল।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে মাইক্রো-ব্লগিং সাইট এক্স এ বলা হয়, "হাসপাতালে সরাসরি গুলি করা হচ্ছে। বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও ভয় বিরাজ করছে।"