অস্ত্রোপচারের সময় রোগীকে ঘুষি চীনা সার্জনের
একটি হাসপাতালে একজন সার্জনের বিরুদ্ধে অস্ত্রোপচারের সময় এক নারী রোগীকে ঘুষি মারার অভিযোগের তদন্ত করছে চীন।
রোগীকে ঘুষি মারার ওই ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাটি ২০১৯ সালে ঘটলেও, ওই হাসপাতালের মূল প্রতিষ্ঠান এয়ার চায়না সম্প্রতি হাসপাতালটির সিইও এবং ঘটনায় জড়িত সার্জনকে বরখাস্ত করে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমের গুইগাং শহরের এয়ার চায়নার একটি হাসপাতালে চোখে অস্ত্রোপচারের সময় সার্জন ৮২ বছর বয়সী রোগীর মাথায় অন্তত তিনবার ঘুষি দেন ।
এয়ার চায়নার ভাষ্যমতে, স্থানীয় অ্যানেস্থেশিয়ার কারণে অস্ত্রোপচার সহ্য করতে সমস্যা হচ্ছিল স্থানীয় এই রোগীর এবং মান্দারিন ভাষায় একাধিকবার সতর্ক করা হলেও ওই রোগী বারবার মাথা ও চোখ নড়াচড়া করছিলেন। 'জরুরী এই অবস্থায়' রোগীর সাথে দুর্ব্যবহার করে বসেন ওই সার্জন। এ ঘটনায় রোগীর কপালে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল রোগীকে ৫০০ ইউয়ান বা ৭০ ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়। পরবর্তীতে ওই রোগীর ছেলে তার মায়ের বাঁ চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। যদিও এই ঘটনার সাথে এর সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা সঠিক জানা যায়নি।
এয়ার চায়না জানিয়েছে, হাসপাতালটি এই ঘটনার রিপোর্ট দেয়নি। এ অবস্থায় ঘটনাটিকে 'প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘন' হিসেবে চিহ্নিত করে গুইয়ান হাসপাতালের সিইও এবং হাসপাতালের ডিন হিসেবে নিযুক্ত ঘটনায় জড়িত সেই সার্জনকে বরখাস্ত করা হয়।
চীনের বিশিষ্ট ডাক্তার আই ফেন এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করলে তা জনসাধারণের সামনে আসে এই সপ্তাহে।
উহানে কোভিড প্রাদুর্ভাব নিয়ে প্রাথমিক সতর্কবার্তা প্রদানকারীদের অন্যতম ডাক্তার আই ফেন তার দুই মিলিয়ন ফলোয়ার সম্বলিত 'ওয়েবো' অ্যাকাউন্টে সিসিটিভি ফুটেজটি শেয়ার করেন।
ডা. আই ফেনের অভিযোগ, এয়ার চায়নার একটি হাসপাতালে চোখের অপারেশনের পরে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলতে বসেছিলেন। এই নিয়ে ২০২১ সাল থেকে তার সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে প্রতিষ্ঠানটির।