বেইজিং রেকর্ড গড়ল আধুনিক সময়ে দীর্ঘতম শৈত্যপ্রবাহের
১৯৫১ সালে বেইজিংয়ে নিয়মিত তাপমাত্রার পরিমাপ শুরুর পর থেকে এবার অঞ্চলটিতে দীর্ঘতম শৈত্যপ্রবাহের রেকর্ড করা হয়েছে। যদিও সম্প্রতি চীনের রাজধানী ও অন্যান্য জায়গায় হিমশীতল তাপমাত্রা ও তুষারপাতের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
শহরের নানজিয়াও ওয়েদার স্টেশনে গতকাল (শনিবার) বিকেলে বেশ কয়েকদিন পর তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরে উঠে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত মিডিয়া বেইজিং ডেইলির রিপোর্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, "গত ১১ ডিসেম্বর তাপমাত্রা প্রথমবারের মতো শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। এরপর এই নিন্ম তাপমাত্রা ৩০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শূন্য ডিগ্রির নিচে ছিল।"
চলতি মাসে চীনের বেশিরভাগ অঞ্চলই শক্তিশালী শৈত্যপ্রবাহের সাক্ষী হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের কিছু শহরের এর তীব্রতা যেন সহনীয় পর্যায়ের বাইরে চলে গিয়েছে।
এর ফলশ্রুতিতে চীনের কেন্দ্রের প্রদেশ হেনানে একাধিক সিস্টেম ব্যর্থতা দেখা দিয়েছে। জিয়াওজুও শহরে গত শুক্রবার ওয়ানফাং পাওয়ার প্ল্যানে ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে আংশিকভাবে হিটিং সার্ভিসও বন্ধ হয়ে যায়।
শহরটির অফিসিয়াল সংবাদপত্র জিয়াওজুও ডেইলি জানায়, পাওয়ার প্লানের ত্রুটিটি গতকাল (রবিবার) এর মধ্যে সমাধান করা হয়েছে। গতকাল রাতের মধ্যেই হিটিং সার্ভিস ফের চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছিল।
প্রদেশটির অন্য দুই শহর পুয়াং ও পিংডিংশানে সরকারি ভবন ও রাষ্ট্রায়ত্ত এন্টারপ্রাইজগুলোতে হিটিং সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে। যাতে করে হাসপাতাল, স্কুল ও আবাসিক ভবনগুলোতে এই সার্ভিসটি অগ্রাধিকার বিবেচনায় প্রদান করা যায়।
এরমধ্যে শীতল তাপমাত্রা বেইজিংয়ের মেট্রো সিস্টেমেও ত্রুটি ঘটিয়েছে। ফলে মাসের শুরুতে তুষারময় পরিস্থিতিতে একটি ব্যস্ত মেট্রো লাইনে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ ঘটে। এতে বহু মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও চলতি মাসে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। তখন শীতল বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়।