টিকটক করতে দিনে ৯ বার বাথরুমে যেত শিক্ষার্থীরা, তাই বাথরুম থেকে আয়নাই সরানো হলো
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার একটি মাধ্যমিক স্কুলের বাথরুমগুলো থেকে আয়না সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বাথরুম ব্যবহারের নাম করে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বাথরুমে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও তৈরি করত। আর শিক্ষার্থীদের বাথরুমে যাওয়ার প্রবণতা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, দিনে অন্তত নয়বার পর্যন্ত তারা বাথরুমে যেত।
অ্যালামেন্স-বার্লিংটন স্কুল সিস্টেমের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার লেস অ্যাটকিন্স টিভি নিউজ নেটওয়ার্ক ডব্লিউএফএমওয়াই এর সাথে আলাপকালে বলেন, 'শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে বাথরুমে অবস্থান করছে এবং সেখানে তারা টিকটক ভিডিও তৈরি করছে।'
এ বিষয়ে অবগত করতে গত সপ্তাহে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা দিনে গড়ে তিন থেকে চারবার বাথরুমে যাচ্ছে। কেউ কেউ এর চেয়েও বেশিবার যেতে চাইছে এবং এজন্য তারা পাঁচ মিনিট বা তারও বেশিক্ষণ সময় চাইছে।
টেলিভিশন নিউজ নেটওয়ার্কটির খবরে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়ার প্রবণতা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, একপর্যায়ে কেউ কেউ দিনে নয়বার পর্যন্ত বাথরুমে গিয়েছিল।
বিষয়টি বুঝতে পেরে কর্তৃপক্ষ স্কুলটির বাথরুমগুলো থেকে আয়না সরিয়ে নেয়। এর পর থেকেই শিক্ষার্থীদের ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
অ্যাটকিন্স বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ফোন দূরে সরিয়ে রাখার পরিবর্তে এই পদক্ষেপটি বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ, কিছু অভিভাবক তাদের সন্তানকে ফোন থেকে দূরে রাখতে চান।
স্কুলটি শিক্ষার্থীদের ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়া কিংবা ফোন কেড়ে নেওয়ার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের কেবল প্রয়োজনীয় কাজে ফোন ব্যবহারের বিষয়ে উৎসাহিত করতে চায়।
স্কুলটি একটি নতুন 'ডিজিটাল হল পাস সিস্টেম' চালু করেছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সারাদিন কোথায় অবস্থান করছে সেটি চিহ্নিত করা যায়।
যদিও শিক্ষার্থীরা বাথরুমে গিয়ে কী ধরনের ভিডিও তৈরি করছে, বা তারা এ কাজের জন্য আয়নার ব্যবহারই বা কতটুকু করছে তা স্পষ্ট নয়, তবে টিকটক ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে প্রায়ই আয়নার ব্যবহার দেখা যায়।
গত বছর ফ্লোরিডায় স্কুলগুলোর ডিভাইস ও ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে টিকটক অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হয়। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকেই এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছিল।
এছাড়াও সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্বদ্যালয়ও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছে।