পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার যেভাবে গঠিত হতে পারে?
শত দমনপীড়নের পরেও ইমরান খানের দল পিটিআই প্রমাণ করেছে পাকিস্তানের জনমানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা। কারাগারে অন্তরীণ ইমরানের দল তেহরিক -ই- ইনসাফ এর প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেও বড় জয় পেয়েছেন। এই অবস্থায়, সামরিক বাহিনীর কর্তাদের নেক-নজরে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এককভাবে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
জেনারেলরা ইমরান খানের জনপ্রিয়তা নিয়ে শঙ্কিত। কারাগারে রুদ্ধ করে, বানোয়াট মামলায় রায় দিয়েও ভোটের মাঠে তাঁর দলের প্রার্থীদের জয়রথকে থামানো যায়নি। এই অবস্থায়, পিটিআইকে বাদ দিয়েই অন্যরা মিলে জোট সরকার গঠন করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
পাকিস্তানের একজন শীর্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাইঘাম খান আল জাজিরাকে বলেন, নির্বাচনের প্রাথমিক এই ফল ঘোষণার প্রেক্ষিতে, দুই ধরনের দৃশ্যপটের সম্ভাবনা রয়েছে।
"প্রথমত, পিটিআইকে বাদ দিয়ে অন্য সবাই মিলে জোট সরকার গঠন করবে। এই সরকারে বড় দুই রাজনৈতিক দল – পিপিপি ও পিএমএল-এন এর সাথে মুত্তাহিদা কওমি মুভভেন্ট (এমকিউএম), জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যরা থাকবে।"
"দ্বিতীয় যে সম্ভাবনা রয়েছে, (যদিও তা অনেকটাই ক্ষীণ) তা হলো– সরকার গঠনে পিটিআই- এর সাথে যোগ দিতে পারে পিপিপি। কারণ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করা পিটিআইয়ের প্রার্থীদের দখলেই সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন"- যোগ করেন তিনি।
নির্বাচনের দিন থেকেই ইমরান খানের প্রার্থীদের হারাতে ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভোট পরবর্তী কারচুপি করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্লেষক জাইঘাম খান জানিয়েছেন, পিটিআইকে বাদ দিয়ে অন্যরা সরকার গঠন করলে– বেশিরভাগ পাকিস্তানী তাকে বৈধ মনে করবেন না। এই পরিস্থিতি, দেশের রাজনীতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অন্তরায় হবে।