জোট সরকার গঠনে এমকিউএমের সাথে ঐক্যমত্য নওয়াজের দলের
পাকিস্তানের নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ- পিএমএলএন জোট সরকার গঠনের মূলনীতিগুলো নিয়ে দেশটির আরেকটি রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট- এমকিউএম এর সাথে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পিএমএল-এন।
এতে বলা হয়, "উভয় দলই দেশ ও জনগণের স্বার্থে একযোগে কাজ করবে।"
নির্বাচনে ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা (যাদের অধিকাংশই হলেন তেহরিক- ই - ইনসাফ দলের) সর্বোচ্চ আসনে জিতেছেন। কিন্তু, দল হিসেবে সর্বোচ্চ আসনে জিতেছে নওয়াজের দল। এরপরই এককভাবে সরকার গঠনের আগের পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন নওয়াজ, এবং জোট গঠনে উদ্যোগী হন।
এই প্রেক্ষাপটে, আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে এমকিউএম ও পিএমএল-এন এর শীর্ষ নেতারা এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে নতুন সরকার গঠনে দুই দলের একযোগে কাজ করার মূলনীতি নিয়ে ঐক্যমত্য হয়েছে।
পিএমএল-এন এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট শেহবাহ শরীফের আমন্ত্রণে আজ সকালে লাহোরের জাটি উমরায় অবস্থিত নওয়াজ শরীফের বাসভবনে আসেন এমকিউএম এর আহ্বায়ক ড. খালিদ মকবুল সিদ্দিকির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। এসময় ড. সাত্তার ফারুক, কামরান তেসোরি ও মুস্তফা কামালের মতো শীর্ষ নেতারা তাঁর সাথে ছিলেন।
অন্যদিকে নওয়াজের নেতৃত্বে পিএমএল-এন এর পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন– শেহবাজ শরিফ, মরিয়ম নেওয়াজ, ইশাক দার, আহসান ইকবাল, রানা সানাউল্লাহ ও আয়াজ সিদ্দিক-সহ দলটির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের ফল অনুযায়ী, ২৬৪ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লীগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪ ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।
এই সমীকরণে এমকিউএম-কে পাশে নিয়ে নওয়াজ জোট সরকার গঠনে এগিয়েই থাকবেন। তবে জাতীয় পরিষদে অন্তত ১৩৪টি আসন দরকার হবে সরকার গঠনের জন্য। সেক্ষেত্রে অন্যান্য ছোট দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন নওয়াজ।
এর আগে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র সাথে জোট গঠনের আলোচনাও করেছিল পিএমএল-এন। তবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন– সে বিষয়ে মতভেদ থাকায় আলোচনা বেশিদূর এগোয়নি। এরপরেই এমকিউএমের সাথে জোট গঠনের কথা জানালো নওয়াজের দল।