নির্বাচনী বন্ড: ভোটে বেনামি অর্থায়ন বাতিল করলেন সুপ্রিম কোর্ট, বিজেপির বিশাল ক্ষতি?
ভারতে রাজনৈতিক দলগুলোকে বেনামে আর্থিক অনুদান দেয়ার জন্য জারিকৃত 'নির্বাচনী বন্ড' বাতিল করতে বলেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এই বন্ডের বৈধতা প্রশ্নে দায়ের করা মামলার রায়ে এটিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন আদালত। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেন।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তথ্য অধিকার আইন এবং সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯ (১) (এ) কে লঙ্ঘন করে নির্বাচনী বন্ড।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলিকে আর্থিক সাহায্যের পরিবর্তে কিছু পাওয়ার বিষয়টিকে উৎসাহ দেওয়া হতে পারে।
এই বন্ড তথ্য অধিকার আইন লঙ্ঘন করে। রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থায়ন সম্পর্কে ভোটারদের জানার অধিকার আছে। সে অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ায় মোদি সরকারের জারি করা নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প অসাংবিধানিক।
তিনি আরও বলেন, কালো টাকা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচনী বন্ড হতে পারে না। এর জন্য অন্য বিকল্পও রয়েছে।
আদালতের রায়ে স্টেট ব্যাঙ্ক ওফ ইন্ডিয়াকে রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী বন্ডের বিষয়ে জানানোর নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ওই নির্দেশ অনুযায়ী, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে সেই সমস্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ওই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে ৩১ মার্চের মধ্যে প্রকাশ করবে।
এর ফলে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এসব বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে বেনামে অনুদান দিয়েছেন তাদের পরিচয়ও প্রকাশ হতে পারে।
২০১৭ সালে চালু হওয়া এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে গত প্রায় আট বছরে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।
বিবিসি জানায়, নির্বাচনে কালো অর্থ ঢালা রুখে দাঁড়িয়ে আরও স্বচ্ছতা আনতে কেন্দ্রীয় সরকার এই বন্ড প্রকল্প চালু করেছিল। কিন্তু অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে বিরোধীরা এই প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ জানায়।