প্যারোলে মুক্তি পেলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) একটি পুলিশ হাসপাতাল থেকে প্যারোলে মুক্তির পর তিনি রাজধানী ব্যাংককে নিজের বাসভবনে ফেরেন। খবর বিবিসির।
১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে গত বছরের আগস্টে দেশে ফেরার পর পুলিশের হাতে আটক হন ৭৪ বছর বয়সী এই ধনকুবের। তিনি দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে গ্রেপ্তারের পর থেকেই হাসপাতালে ছিলেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।
যদিও আদালত তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। তবে থাইল্যান্ডে ফেরার কয়েক দিন পর তার সাজা কমিয়ে এক বছর করেন দেশটির রাজা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তিনি একটি রাতও জেলে কাটাননি। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেক থাই সমালোচনা করে বলেন, ধনী ও প্রভাবশালীদের প্রায়ই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বয়স ও স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে থাকসিন প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য।
তবে প্যারোলে মুক্তি পেলেও তিনি নজরদারিতে থাকবেন কি না বা তার ভ্রমণের বিষয়ে কোনো বিধি-নিষেধ থাকছে কি না সে ব্যাপারে থাই কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি।
থাকসিন থাইল্যান্ডের সবচেয়ে সফল নেতাদের একজন। তিনি ২০০৮ সালে থাইল্যান্ড ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান। এর দুই বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। নির্বাসন জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি লন্ডন বা দুবাইতে কাটিয়েছেন।
থাকসিনের পারিবারিক দল ফিউ থাই পার্টি বর্তমানে থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় রয়েছে।
থাইল্যান্ডের ইতিহাসে থাকসিনই প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী যিনি ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত সরকারের পুরো মেয়াদ শেষ করতে পেরেছিলেন।
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক