১.৮ মিলিয়ন ডলার পাওনা, ঘানার পার্লামেন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হলো
পাওনা পরিশোধ না করায় ঘানায় পার্লামেন্ট ভবনেরই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য আংশিক পাওনা পরিশোধ করায় পরদিনই আবারও বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়। খবর বিবিসির।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। সে সময় পার্লামেন্টে ভাষণ দিচ্ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তার ভাষণেও বিঘ্ন ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর পার্লামেন্টের সদস্যরা ক্ষীণ আলোয় 'ডুমসোর', 'ডুমসোর' বলে চিৎকার করছেন। স্থানীয় আকান ভাষায় ডুমসোর শব্দটির অর্থ বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পার্লামেন্টের সদস্য ও কর্মকর্তারা লিফটে আটকা পড়েন বলেও জানায় স্থানীয় একটি গণমাধ্যম।
বেশ কয়েক মিনিট পর বিদ্যুতের জন্য জেনারেটর চালু করা হয়। তবে পার্লামেন্ট ভবনটির অন্যান্য অংশ দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎহীন ছিল।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালিত বৈদ্যুতিক প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিসিটি কোম্পানি অব ঘানার পার্লামেন্টের কাছ থেকে ২৩ মিলিয়নেরও বেশি ঘানাইয়ান সেডি (১.৮ মিলিয়ন ডলার) পাওনা রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির যোগাযোগ কর্মকর্তা উইলিয়াম বোয়াটেং সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হলো- পাওনা পরিশোধের যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, পার্লামেন্ট সেটির বিষয়ে গুরুত্ব দেয়নি।
এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার পরদিনই ১৩ মিলিয়ন ঘানাইয়ান সেডি পরিশোধ করে পার্লামেন্ট। সেই সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট ঋণ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলে আবারও বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেওয়া হয়।
তবে পার্লামেন্টের অর্থ বিষয়ক কর্মকর্তা ইবেনেজার আহুমাহ ডিজিয়েট্রর পার্লামেন্টের কাছে প্রতিষ্ঠানটির পাওনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেমটি সম্প্রতি পার্লামেন্টের পরিশোধ করা বিলের রেকর্ড রাখতে পারেনি। তিনি এও জোর দেন যে বকেয়া বিলের পরিমাণ সাড়ে ৯ লাখ ডলার।
ঘানার এই বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক দিক থেকে অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। এ কারণে প্রায়ই ঋণগ্রস্থ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে বাধ্য হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
বোয়াটেং রয়টার্সকে বলেন, যে বা যারাই বিল পরিশোধ করবে না বা করতে পারবে না, তাদের সবার সংযোগই বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক