অপহৃত এমভি আবদুল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনী
শুক্রবার (১৫ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছ থেকে সাহায্যের আবেদন পেয়ে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি একটি দূরপাল্লার মেরিটাইম পেট্রোল উড়োজাহাজ জাহাজটির পিছু নিয়েছিল এবং অপহৃত জাহাজের ক্রুদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছিল।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
নৌবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, সশস্ত্র জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাণিজ্যিক জাহাজের ক্রুদের (বাংলাদেশি নাগরিক) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং জাহাজটি সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এর কাছাকাছি অবস্থানেই ছিল।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অপহৃত জাহাজটি থেকে সাহায্যের আবেদন পেয়ে গত মঙ্গলবার ভারতীয় নৌবাহিনীর দূরপাল্লার মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট এলআরএমপি পি-৮১ মোতায়েন করা হয়। এটি জাহাজের ক্রুদের অবস্থা জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তবে জাহাজ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, "পরবর্তীতে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে যেটি ঐ অঞ্চলের সামুদ্রিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল। যুদ্ধজাহাজটি বৃহস্পতিবার থেকে জিম্মি জাহাজটির উপর নজরদারি শুরু করেছে।"
গত দুই মাসে ভারতীয় নৌবাহিনী জলদস্যু হামলার পর ভারত মহাসাগরে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজকে সহায়তা করেছে। এই মাসের শুরুতে সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে একটি ইরানি পতাকাবাহী মাছ ধরার জাহাজে জলদস্যুরা হামলা চালানোর চেষ্টা করলে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ভারতীয় নৌবাহিনী।
২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বেলা দেড়টার দিকে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।