জাহাজের ধাক্কায় বাল্টিমোর সেতু ভেঙে ছয় শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা
স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাতে সিঙ্গাপুরের পণ্যবাহী জাহাজ দ্য ডালি'র ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর সেতু বা ফ্রান্সিস স্কট কি সেতু। এদিকে সেতুটি ভেঙে পড়ার পর বাল্টিমোর হারবারে ছয়জন শ্রমিক নিখোঁজ হওয়ার পরে আশঙ্কা করা হচ্ছে তারা মারা গেছেন।
অন্ধকারের জন্য এবং ধ্বংসাবশেষ ভরা পানিতে বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে দুর্ঘটনার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পরে উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ডুবুরির দল প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ায় ইউএস কোস্ট গার্ড এবং মেরিল্যান্ড স্টেট পুলিশের কর্মকর্তারা অনুসন্ধান স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল শ্যানন গিলরেথ বলেছেন, হিমশীতল পানি এবং দুর্ঘটনার পর অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে নিখোঁজ শ্রমিকদের জীবিত খুঁজে পাওয়ার কোনো আশা নেই।
রাজ্য পুলিশের কর্নেল রোল্যান্ড বাটলার বলেছেন, শ্রমিকদের দেহাবশেষ উদ্ধারের প্রয়াসে বুধবার সূর্যোদয়ের পর আবারো ডুবুরিদের পানিতে অনুসন্ধানের জন্য ফেরত পাঠানো হবে।
মার্কিন কোস্টগার্ডের তথ্যমতে, সোমবার দিবাগত রাত ১টা ২৭ মিনিটে জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ভেঙে পড়ে। ৯৪৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ঐ জাহাজের ধাক্কায় বাল্টিমোর বন্দরের চার লেনের সেতুটি ভেঙে যায়। এসময় সেতুর উপর চলাচলরত বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মানুষ নিচের প্যাটাপসকো নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়।
ফ্রান্সিস স্কট কি সেতুটি নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার একটি ব্যস্ত সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৩১ হাজার গাড়ি বা বছরে ১১.৩ মিলিয়ন যানবাহন চলাচল করে।
বন্দরের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি গাড়ি পরিবহণ করা যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যস্ত বন্দর এটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের বন্দরটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল থেকে শুরু করে কয়লা ও চিনির মতো অন্যান্য পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার হুমকি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে উত্তরপূর্ব সমুদ্র উপকূলে যানজট সৃষ্টি হতে পারে এবং পণ্য পরিবহনের সময় ও ব্যয় বাড়তে পারে।