জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী সদস্যপদের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের স্থায়ী সদস্যপদ প্রদানের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল (বৃহস্পতিবার) একমাত্র দেশ হিসেবে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নেয় বাইডেন প্রশাসন।
প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট ছিল ১২টি। আর যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট প্রদান থেকে বিরত ছিল।
যদি ফিলিস্তিনকে স্থায়ী সদস্যপদ প্রদানের প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদের কাউন্সিলে অনুমোদিত হতো, তাহলে বিষয়টি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে চলে যেত। সেখানে যদি ১৯৩টি সদস্য দেশের দুই-তৃতীয়াংশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিত, তবে তা গৃহীত হতো।
এর আগে সাধারণ পরিষদে 'ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক' মর্মে সুপারিশ প্রদানের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য আলজেরিয়া খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল।
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে ফিলিস্তিনিরা এ মাসের শুরুতে পুনরায় সদস্যপদের জন্য আবেদন করেন। এর আগে ২০১১ সালে সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো তারা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভেটো প্রয়োগ করে বারবার এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে।
এদিকে আঞ্চলিক জোট আরব গ্রুপ গত মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের আবেদনের প্রতি 'অটল সমর্থন' জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক রেজুল্যেশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘের সদস্যপদ একটি ন্যায়সংগত এবং সঠিক পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।'
জাতিসংঘে আমেরিকার অল্টারনেটিভ প্রতিনিধি রবার্ট উড ভোটের পরে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে জোরালোভাবে সমর্থন করে আসছে।"
ফিলিস্তিনিরা ২০১২ সালে জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পায়। রাষ্ট্রটি পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ড. রিয়াদ মনসুর বলেছেন, 'আমরা পূর্ণ সদস্য হতে চাইছি। এটা আমাদের স্বাভাবিক ও আইনগত অধিকার।'
এদিকে হামাস পরিচালিত এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান