অতিরিক্ত উৎপাদনে স্পেনে নষ্ট হচ্ছে ৪ লাখ টন লেবু
স্পেনে ২০২৩-২৪ মৌসুমে অত্যধিক ফলনে প্রায় ৪ লাখ টন লেবু নষ্ট হচ্ছে। যা মোট পরিকল্পনামাফিক উৎপাদনের প্রায় ২৭ শতাংশ। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির এগ্রিকালচারাল ইউনিয়ন সিওএজি।
যে পরিমাণ লেবু নষ্ট হবে সেটির টাকার অঙ্ক প্রায় ১২৯ মিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে স্প্যানিশ কৃষকেরা এর পেছনে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টরকে দায়ী করেছেন।
প্রথমত, তুরস্ক, মিশর, আর্জেন্টিনা ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে লেবু ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করছে। দ্বিতীয়ত, সুপারমার্কেটগুলো বাহ্যিকভাবে দেখতে শুধু আকর্ষণীয় লেবুগুলো রাখতে চাইছে। এছাড়াও, মাঠে কীটপতঙ্গ বৃদ্ধি ছাড়াও জলবায়ুগত প্রতিকূলতা দেখা দিয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে বহু সমালোচকদের মতোই বিশ্ব সাইট্রাস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও) এই ফ্যাক্টরগুলোকে কারণ হিসেবে মানতে নারাজ। তারা বরং লেবুর অত্যধিক চাষ বৃদ্ধিকেই কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। কেননা স্পেনে যেমন অন্য দেশের লেবু পাওয়া যাচ্ছে ঠিক তেমনি স্পেনের লেবুও পুরো ইউরোপজুড়ে পাওয়া যাচ্ছে।
ডব্লিউসিও সেক্রেটারি জেনারেল ফিলিপ বাইনার্ড বলেন, "স্পেন (লেবুর) বাজারে শীর্ষে রয়েছে। তারাই বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সেক্ষেত্রে এই অবস্থায় অন্য কাউকে দোষ দেওয়া সবসময় সহজ। তবে আমাদের অবশ্যই বাজারে ন্যূনতম প্রতিযোগিতা থাকার বিষয়টি মেনে নিতে হবে।"
এক্ষেত্রে স্পেনের লেবুর চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থা দ্য ইন্টারপ্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব লেমন এন্ড গ্রেইপফ্রুটের পক্ষ লেবুর অত্যধিক চাষের কথা স্বীকার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চাহিদা ও যোগানের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে উৎপাদনে ভারসাম্য তৈরির বিষয়টি তারা উল্লেখ করেছেন।
সংস্থাটির ডিরেক্টর জোসে এন্টোনিও গার্সিয়া বলেন, "লেবুর উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য থেকে সেটা স্পষ্ট হওয়া যায়। আট বছর আগে ৩৬ হজার হেক্টর জমিতে তা চাষ করা হতো। বর্তমানে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে তা চাষ করা হয়।"
গার্সিয়া আরও বলেন, "পরিশেষে এটা খুব সহজ গাণিতিক হিসাব। মার্কেটে যেখানে ১ ১.১ মিলিয়ন টন যোগান রয়েছে, সেখানে চলতি মৌসুমে উৎপাদিত হয়েছে ১.৫ মিলিয়ন টন। সেক্ষেত্রে ৪ লাখ টন লেবু মাঠেই পরে থাকবে।"
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান