একদিনের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা
প্রতিবছরের মতো এবারও রোজার প্রথম দিনেই রাজধানীতে বেগুন, শসা, লেবু ও আলুর দাম বেড়েছে।
রাজধানীর কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজারের তথ্য বলছে, রোজার আগের দিনও যেই বেগুন ছিল ৭০-৮০ টাকা কেজি, সেটি রোজার প্রথম দিন বাজারভেদে ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ খুচরা বাজারগুলোতেই পণ্যটির দাম রাতারাতি বেড়েছে।
একইভাবে বেড়েছে শসার দাম। একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকায় উঠেছে। আর দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে।
বেড়েছে লেবুর দামও। সাধারণ মানের লেবু এখন ৬০-৮০ টাকা হালিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে, যা দুইদিন আগেও ছিল ৪০-৬০ টাকা।
এদিকে লেবু, শসা ও বেগুনের সঙ্গে আলুর দামও বেড়েছে। রোজা শুরুর দুই-তিনদিন আগে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছিল আলুর দাম। আর প্রথম রোজায় বেড়েছে আরও ৫ টাকা।
রোজায় ইফতারির যে খাবারগুলোতে দেশের মানুষ অভ্যস্ত, সেই খাবারগুলো তৈরিতে বেগুন ও আলুর প্রচুর ব্যবহার হয়। পুরো রোজার মাসে ইফতারিতে বেগুনি ও আলুর চপ সবার কাছেই পছন্দের। সালাদ হিসেবে শসা এবং ইফতারির কমন আইটেম শরবত বানাতে ব্যবহার হয় লেবু। এই বাড়তি চাহিদাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই পণ্যগুলোর দাম রোজার শুরুতে লাগামছাড়া হয়ে ওঠে। তবে এর দায় কেউ নিচ্ছেন না। ব্যবসায়ীরা একপক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করছেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কৃষকের উৎপাদিত সবজি খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছাতে কয়েকটি হাতবদল হচ্ছে। এ কারণে ভোক্তাদের চড়া মূল্যে এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারওয়ানবাজারে এক বেগুন বিক্রেতা নরসিংদী থেকে ২৮ মণ বেগুন ৬০ টাকা করে কিনে বিক্রি করেছেন ৮০ টাকা দরে। অর্থাৎ কেজিতে তার লাভ ২০ টাকা। কিন্তু এই বিক্রেতার কোনো ধরনের ট্রেড লাইসেন্স দূরে থাক, পণ্য কেনা-বেচার কোন রসিদও নেই।
বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন খোদ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটিু। তিনি নিজেই প্রশ্ন করেছেন- '৬-৭ টাকার লেবু কী করে ঢাকায় এসে ২০ টাকা হয়?'
তিনি বলেন, 'আমাদের ভ্যালু চেইন, সাপ্লাই চেইন উন্নত করার জায়গা আছে। এটা কি পরিবহনের কারণে বাড়ছে, নাকি আরো কোনো বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা আছে, সেটি দেখতে হবে।'