জাদুকর ডেভিড কপারফিল্ডের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন ১৬ নারী
জাদুকর ডেভিড কপারফিল্ডের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও অশালীন আচরণের অভিযোগ এনেছেন ১৬ জন নারী। খবর বিবিসি'র।
গার্ডিয়ান পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, এসব নারীর বয়স যখন ১৮ বছরের নিচে ছিল, তখন এসব অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগগুলো আশির দশকের শেষ দিক থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত।
কপারফিল্ডের একজন প্রতিনিধি বিবিসিকে বলেছেন, অভিযোগগুলো 'মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ' এবং ডেভিড আসলে তার ঠিক বিপরীত।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ওই তিন নারীর দাবি, কপারফিল্ড তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আগে মাদক সেবন করান। তাই যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আগে তারা স্বজ্ঞানে কোনো সম্মতি দেননি।
আরও চারটি ঘটনায় নারীরা অভিযোগ করেছেন, মঞ্চে লাইভ পারফরম্যান্সের সময় কপারফিল্ড তাদের অশালীনভাবে স্পর্শ করেছেন।
আরেক নারী জানান, ১৯৯১ সালে ১৫ বছর বয়সে কপারফিল্ডের সাথে তার দেখা হয়েছিল। এর পর থেকে তিনি ফোন কলের মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
ওই নারী মনে করেন, ১৮ বছর বয়সে কপারফিল্ডের সঙ্গে তার সম্মতিক্রমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন হলেও আগে থেকেই তাকে এর জন্য প্রস্তুত (গ্রুমিং) করা হয়েছিল।
কপারফিল্ডের আইনজীবীরা সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও গ্রমিংয়ের ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন।
বিবিসিকে দেওয়া পৃথক এক বিবৃতিতে তার আইনজীবীরা বলেন, 'ডেভিড কপারফিল্ডকে যারা চেনেন তারা সবাই বলবেন যে, পত্রিকার আনা এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং নারীদের, নিপীড়কদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নিজের ক্যারিয়ারকে ঝুঁকিতে ফেলেছেন এমন রেকর্ডও আছে তার।'
তার আইনজীবিরা জানান, আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে, যেগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে পরে। এখনকার অভিযোগগুলোও মিথ্যা প্রমাণিত হবে। ডেভিডের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারেনি।
উলটো, যখনই মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অনুরুপ অভিযোগগুলোর তদন্ত করেছে, তারা দাবির সমর্থনে কোনো স্পষ্ট প্রমাণ পায়নি।
তারা আরও বলেন, 'দ্য গার্ডিয়ান কপারফিল্ডের চরিত্রকে ভুলভাবে চিত্রায়িত করছে, তিনি এমনটা নন। বরং তিনি সকল প্রকার নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে। এরকম মিথ্যা অভিযোগ, নির্যাতন, নিপীড়ন ও বৈষম্য মোকাবিলায় অগ্রগতিকে বরং আরও বাধাগ্রস্ত করে।'
আইনজীবিরা জানিয়েছেন, কপারফিল্ড তার আইনি দলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে ২০১৮ সালেও কপারফিল্ডের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ওইসময়ও তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
কপারফিল্ড আমেরিকার অন্যতম বিখ্যাত জাদুকর। তিনি ২১টি এমি পুরস্কার জিতেছেন এবং ১১টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অধিকারী।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন