৯৫ ডিগ্রি তাপপ্রবাহ: ফ্লাইট বিলম্ব, গায়ের কাপড় খুলে ফেলার পরও গরমে অজ্ঞান হয়ে যান যাত্রীরা
গ্রিসের এথেন্সে চলছে তাপদাহ, তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। এর মধ্যেই সোমবার (১০ জুন) কাতার এয়ারওয়েজ এর ফ্লাইট-২০৪ নামে একটি প্লেনের যাত্রীরা ফ্লাইট বিলম্বের কারণে তিন ঘণ্টার ওপর এথেন্সের বিমানবন্দরে আটকা পড়েছিল।
বোয়িং ৭৭৭ মডেলের ঐ প্লেনটি বিমানবন্দরে অবস্থান করার সময় এর শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে তীব্র গরমে অস্বস্তির মধ্যে পরে যান যাত্রীরা, কেউ কেউ গরমের জন্য অজ্ঞান হয়েও পরেছেন। প্লেনটিতে মুয়ে থাই প্রতিযোগিতা থেকে ফিরে আসা ক্রীড়াবিদসহ অন্যান্য যাত্রীরা তিন ঘণ্টা ধরে তাপের সাথে লড়াই করেন।
প্লেনে থাকা থাই পত্রিকা ম্যাটিচনের একজন প্রতিবেদক এবং একজন স্পোর্টস থেরাপিস্ট যাত্রীদের ঘামতে থাকার এবং নিজেদের ঠান্ডা করার চেষ্টার ভিডিও শেয়ার করেছেন।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে একজন যাত্রী গরম থেকে বাঁচার জন্য নিজের শার্ট খুলে ফেলেছেন।
ফ্লাইটত্রেডার২৪ এর তথ্যমতে, তিন ঘণ্টা পর যাত্রীদের প্লেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে ফ্লাইটটি ১৬ ঘণ্টা দেরিতে অবশেষে দোহায় অবতরণ করে।
এথেন্সে তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট-এ (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি) পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবারের ঘটনাটি কীভাবে জলবায়ু সংকট ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিমান সংস্থা এবং যাত্রীদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে তার একটি বড় উদাহরণ।
কাতার এয়ারওয়েজ প্রযুক্তিগত (টেকনিক্যাল) সমস্যার কারণে ১০ জুনের এথেন্স থেকে দোহাগামী ফ্লাইট বিলম্বের জন্য ক্ষমা চেয়েছে।
কাতার এয়ারওয়েজের একজন এয়ারলাইন মুখপাত্র বিজনেস ইনসাইডারকে জানিয়েছেন,যাত্রীদের বিমান থেকে নামানোর পর কাতারের কর্মীরা তাদের সাহায্য করেছিল। দোহাতে যাত্রীদের পূর্ণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
ঐ মুখপাত্র বলেন, "আমরা সবসময় আমাদের যাত্রী এবং ক্রুদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে অগ্রাধিকার দিই এবং এই ব্যাঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক যাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছি।"
তিনি বলেন, কাতার এয়ারওয়েজ এর নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে যাত্রীদের তাদের ক্ষতিপূরণ চাওয়ার অধিকার সম্পর্কেও জানানো হয়েছে।
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়