দ. আফ্রিকায় জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন: বিশ্বকে গণতন্ত্রের যে শিক্ষা দিচ্ছে
বর্ণবাদ-বিরোধী ভূমিকার জন্য শান্তিতে নোবেলজয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু একবার আক্ষেপ করে লিখেছিলেন, আমরা দক্ষিণ আফ্রিকানরা নিজেদের কম মূল্যে বিকিয়ে দেই।" তাঁর মতে, বহু সমস্যাক্লিষ্ট এই দেশে নিজেদের 'অবিস্মরণীয় অর্জনের' কথা ভুলে যাওয়াটা খুবই সহজ।
টুটু উপলদ্ধি করেছিলেন, প্রায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ফসল হিসেবে, বর্ণবাদী শাসন-শোষণের অবসান ঘটিয়ে ১৯৯৪ সনে দ. আফ্রিকা গণতান্ত্রিক যে রুপান্তর অর্জন করেছিল– সেটি পুরো বিশ্বের জন্যই শিক্ষনীয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনশিলিয়েশন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন টুটু। এই কমিশন বর্ণবাদী শোষণের অন্ধকার দিকগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী শাসনে– নিপীড়িত কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের ক্ষমা আদায়েও কাজ করেছে।
ডেসমন্ড টুটু আজ জীবিত থাকলে– গত ১৪ জুনের ঘটনাকেও দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক অর্জনগুলোর তালিকায় ঠাঁই দিতেন হয়তো। কারণ এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্ট সদস্যরা ৭১ বছরের সিরিল রামাফোসাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করেছেন। রামাফোসা অবশ্য এবার নতুন জাতীয় ঐক্যের সরকারকে পরিচালনা করবেন। এটি ঐতিহাসিক কারণ, শ্বেতাঙ্গ পুঁজিবাদীদের সমর্থনপুষ্ট দল হিসেবে পরিচিত সাবেক বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) রয়েছে এই সরকারে।
গত ২৯ মে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। যেখানে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি রামাফোসার দল ও বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলনের মূল সংগঠন- আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)। দলটি ভোটও পেয়েছে মাত্র ৪০.২ শতাংশ। ফলে প্রধান বিরোধী দলের সাথে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেন রামাফোসা। ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স এতে সম্মত দেয়। ডিএ পেয়েছে মোট ভোটের ২১.৮ শতাংশ।
ডিএ'র সাথে জোট সরকার গঠন এড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ ছিল রামাফোসার সামনে। চাইলে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ছোট দলগুলোর সাথে গাঁটছড়া বাঁধতে পারতেন। যারা জনতোষণবাদের রাজনীতি করে। কিন্তু, বর্ণবাদ নিয়ে তাঁদের রয়েছে বিপজ্জনক দৃষ্টিভঙ্গি। সেজন্যই দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার কথা আগে ভাবতে হয় রামাফোসাকে। ১৯৯৪ সালে দুই বর্ণের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঐতিহাসিক যে সমঝোতা হয়– সেটির মূল্যবোধ রক্ষায়, এবং রাষ্ট্রপ্রধানের পদে থেকে গুরুত্বপূর্ণ নতুন সংস্কারগুলো অব্যাহত রাখতে – এএনসির নেতা এ পথে পা বাড়ান। ফলে জোট সরকার গঠন দক্ষিণ আফ্রিকার বিকাশমান গণতন্ত্রের জন্য একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।
জাতীয় নির্বাচনে ছোট দলগুলোর মধ্যে ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটার্স চতুর্থ সর্বোচ্চ ৯.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। শ্বেতাঙ্গ-বিরোধী কট্টর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত বামঘেঁষা এই দলটি। সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার দল উমখোন্ত ওয়েসিজওয়ি (এমকে) পায় তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪.৬ শতাংশ ভোট। ছোট ছোট আরো কিছু দল এমকের সাথে সরকার গঠনে রাজী ছিল। এমনকী নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান গদে মান্তাশেও ছোট দলগুলোর সাথে জোট গঠনের আগ্রহ দেখান বলে খবরে এসেছিল।
এই অবস্থায়, স্বভাবসিদ্ধভাবে খুব সাবধানী পদক্ষেপ নেন রামাফোসা। গত ৬ জুন এএনসির প্রধান নীতি-নির্ধারক কমিটির সভায় ঘোষণা দেন যে, তিনি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সরকারে যোগদানের বিষয়ে তিনি প্রধান সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করবেন। ওই ঘোষণার প্রেক্ষাপটে তখন ধারণা করা হয়েছিল, জোট সরকারে যোগ দেওয়া- না দেওয়ার সিদ্ধান্তের ভার তিনি তাঁর বিরোধীদের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন।
তাঁর উদ্দেশ্য যাই হোক, সেটি কাজে দেয়। ওই ঘোষণার পরে এমকে এবং ইএফএফ এমন সব অযৌক্তিক দাবি করে বসে যে, যা এএনসির পক্ষে মানা সম্ভব ছিল না। ইএফএফ অর্থমন্ত্রণালয় চেয়েছিল। 'শ্বেতাঙ্গ পুঁজিবাদী শক্তির' সমর্থিত ডিএ'র সাথে তাঁরা কখনোই এক সরকারে যাবে না বলেও জানিয়ে দেয়।
অন্যদিকে, নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে– ট্রাম্পের মতো এরকম মিথ্যা দাবি করে এমকে। অবিলম্বে তাঁরা রামাফোসার পদত্যাগের দাবিও তোলে। এএনসি এই দাবি সাফ নাকচ করে দেয়।
এসব দলের সাথে সরকার গঠন করতে রামাফোসাও মনে মনে চাইতেন না। সেকথা সরাসরি না বললেও– তাঁর ইঙ্গিতগুলোয় তা প্রকাশ পেয়েছে। যেমন এএনসির নীতিনির্ধারক কমিটির বৈঠকের পর তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় ঐক্যের সরকারের শরীক দলগুলোকে অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ-বিরোধী সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। অথচ ইএফএফ প্রকাশ্যে শ্বেতাঙ্গ ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বিরুদ্ধে বিষদাগার করে।
এজন্যই তৃতীয় ও চতুর্থ সর্বোচ্চ আসন পাওয়া এমকে এবং ইএফএফের সাথে জোট করতে না হওয়ায়, তিনি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। তবে জোট সরকারে যোগদানের সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে– তিনি আসলে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখান। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ এবার যেভাবে ভোট দিয়েছেন– সেটি ছিল জোট সরকার গঠনেরই ম্যান্ডেট।
এরপর গত ১০ জুন তিনি বাজার-বান্ধব সংস্কার বাস্তবায়নে তাঁর নেওয়া একটি উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন। নির্বাচনী প্রচারে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সও একই ধরনের একটি কর্মসূচির অঙ্গীকার করেছিল। রামাফোসা তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে ডিএ নেতৃত্বের প্রতি ইতিবাচক বার্তা দেন।
জোট গঠনের জন্য ডিএ'কেও কৃতিত্ব দিতেই হয়। জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে কালক্ষেপণ করার যে অবসর নেই– সেটি তাঁরা বুঝতে পারে। একইসঙ্গে (বর্ণবাদ বিরোধী সংবিধান রক্ষায়) পরিস্থিতির গুরুত্বও অনুবাধন করে। তবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিকার রক্ষা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণ স্বাধীনতাসহ তারা বেশকিছু শর্তও দিয়েছে। এই দুটি বিষয়কেই খর্ব করতে চেয়েছিল ইএফএফ।
ডিএ রামাফোসার বাজার-বান্ধব সংস্কার বাস্তবায়নকে সমর্থনও দেয়। একইসঙ্গে বিদায়ী এএনসি'র সরকারের আগের প্রতিশ্রুতিগুলোর চেয়ে বেশিকিছুও দলটি চায়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কৃষ্ণাঙ্গ। কিন্তু তাঁদের মধ্যে আবার সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী হচ্ছে জুলু সম্প্রদায়। জুলুদের একটি রাজনৈতিক দল ইনকাথা ফ্রিডম পার্টির (আইএফপি) সঙ্গেও আলাদা একটি চুক্তিতে পৌঁছায় এএনসি। এই দলটি দক্ষিণ আফ্রিকার গণতন্ত্র ও সংবিধানে আস্থা রাখে, যেটা রাখে না জুলু নেতৃত্বের অপর দল জ্যাক জুমার এমকে। এই সমঝোতার ভিত্তিতে, নতুন সরকারে আইএফপির নেতা ফিকি হ্লাবিসা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্ণবাদী শাসনের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে শাসন করেছে এএনসি। এই সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৯০ এর দশকে এক অঘোষিত গৃহযুদ্ধ করেছিল আইএফপি, যাতে প্রাণ হারায় হাজারো মানুষ। গত ১২ জুন এক বক্তব্যে এএনসির সাথে তাঁর দলের এই সমঝোতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন ফিকি হ্লাবিসা। এটি দেশের শান্তি-স্থিতিশীলতার জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি আইএফপির মতোন কিছু ছোট দলকেও জোট সরকারে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে নতুন জাতীয় ঐক্যের সরকারকে মনে হতো শুধু এএনসির সাথে ডিএ'র জোট।
এএনসির কিছু অংশও ডিএ'কে শ্বেতাঙ্গদের দল হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। ফলে দলের ভেতরে ও রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার এক নিপুণ প্রচেষ্টা নিতে হয় রামাফোসাকে।
সমঝোতার আলোকে দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি বড় প্রদেশ- গাওতেং ও কাওয়াজুলু-নাটালে একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছে এএনসি, আইএফপি ও ডিএ। প্রাদেশিক নির্বাচনে এর আগে এ দুটি প্রদেশে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে সবচেয়ে বেশি ৪৫.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে জুমার এমকে। নাটালের মোট ৮০ আসনের মধ্যে এমকে ও ইএফএফের বাইরে অন্যান্য দলের আসন রয়েছে মাত্র ৪১টি। ফলে এই প্রদেশে এএনসি নেতৃত্বাধীন জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হবে খুবই সামান্য।
জাতীয় ঐক্যের সরকারের বিষয়ে একমত হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর আরো কিছু কাজ বাকি আছে। এখন তাঁদের মধ্যে মূল সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত চুক্তি হতে হবে। ডিএ'র জন্য এটি অপরিহার্য, যাতে তাঁদের সমর্থকরা ভেবে না বসেন যে, এএনসিকে খোলা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই এই চুক্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ দিতে হবে রামাফোসাকে। সেখানেও আছে জটিল ভারসাম্য রক্ষার সমীকরণ। নির্বাচনে দলগুলোর পাওয়া ভোট হারের ভিত্তিতে তিনি মন্ত্রিসভার আসন বন্টন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকার গঠনের এসব প্রক্রিয়া শেষ হলে পর– একটি কার্যকর সরকার হিসেবে দেশ শাসনের মাধ্যমেও প্রমাণ দিতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার দীর্ঘদিনের অজস্র আর্থ-সামাজিক সমস্যা রয়েছে। যেগুলো সমাধানে বৈপ্লবিক সব সংস্কারের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা দরকার। একটি সুদক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থাই যা এগিয়ে নিতে পারবে। দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতির নানান খাত, আর্থিক বাজার, বন্দর, পানি সরবরাহের অবকাঠামোসহ খনিশিল্পে আরো বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে জোট সরকারকে। নিতে হবে সম্পদের বৈষম্য কমিয়ে আনা ও দারিদ্র দূরীকরণের কঠিন দায়িত্ব।
রাজনীতির ময়দানেও কোনো ছাড় পাবে না নতুন সরকার। ইএফএফ এবং এমকে বলবে, ১৯৯৪ সালের মতোই অভিজাত শ্বেতাঙ্গদের সাথে আদর্শ বিকিয়ে দেওয়া কৃষ্ণাঙ্গ নেতাদের সমঝোতার ফসল হলো– এই সরকার। ইএফএফ নেতা জুলিয়াস মেলেমা জানিয়েছেন, এই সরকারের বিরোধিতার জন্য তিনি এমকের সাথে একসাথে কাজ করবেন। ডিএ'কে তিনি 'জায়নবাদী' ও 'শত্রু' বলেও বর্ণনা করেন।
এই বাস্তবতায়, ডিএ'র সাথে জোট ধরে রাখতে নিজ দল এএনসির ভেতরে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে রামাফোসাকে। নির্বাচনে দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পেছনে রামাফোসাকেই দায়ী মনে করেন দলের অনেকে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দলের প্রভাবশালী নেতাদের অনুগত রাখতে– মন্ত্রিসভায় তাঁদের সবাইকে রাখতেও পারবেন না তিনি। এই অবস্থায়, শ্রমিক ইউনিয়ন বা সরকারি চাকুরির নিয়োগসহ তাঁর সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত যদি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী আসনগুলোর স্বার্থের পরিপন্থী হয়– তাহলে রামাফোসা প্রবল চাপের সম্মুখীন হবেন।
তবে এসব প্রতিকূলতা হলো আগামীদিনের। আপাতত, দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ-বিরোধী সাম্যকে রক্ষা করতে পেরেছেন সিরিল রামাফোসা। এবং সেটিও করেছেন ডিএ'র সাথে এক ঐতিহাসিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে। এর মাধ্যমে জ্যাকব জুমার মতো দুর্নীতিবাজ এবং ইএফএফের মতো উগ্র দলকে ক্ষমতায় আসতে দেননি।
১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত যে আশাবাদ ও আদর্শের ভিত্তিতে নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর সাবেক শত্রুদের সাথে কাজ করেছিলেন– সেটা হয়তো এই জোটের পক্ষে সম্ভব হবে না। তবে আশার কথা এখানেই যে, এ ঐক্য প্রমাণ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিতে এখনও আদর্শবাদের জায়গা রয়েছে। ১৯৯৪ সালের তিন দশক পর দক্ষিণ আফ্রিকা আবারো দেখাল, এখনও দেশটির থেকে গণতন্ত্র চর্চার বহু শিক্ষা নেওয়ার আছে বাকি বিশ্বের।
অনুবাদ: নূর মাজিদ