ভারত ও চীনে শিক্ষার্থীরা ফিরে গিয়ে মাল্টি-বিলিয়নিয়ার হচ্ছে: গ্রিন কার্ড ইস্যুতে ট্রাম্প
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে নিজের শক্ত অভিবাসী নীতিতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যেই নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজগুলোর বিদেশি গ্র্যাজুয়েটদের গ্রিন কার্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
চামাথ পালিহাপিটিয়া, জেসন ক্যালাকানিস, ডেভিড স্যাকস এবং ডেভিড ফ্রিডবার্গের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত 'অল-ইন পডকাস্ট'-এ ট্রাম্প নিজের এই পরিকল্পনার কথা জানান।
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "আমি এমন ঘটনাও জানি যে, শীর্ষ কলেজ থেকে স্নাতক লাভ করে (শিক্ষার্থীরা) মরিয়া হয়ে এখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) থাকতে চেয়েছিল। তাদের একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ছিল। তবে সেটা না পেরে তারা ভারত, চীনে ফিরে যায়। সেখানে তারা একই ধরনের কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে।"
ট্রাম্প আরও বলেন, "তারা (দেশে ফেরত শিক্ষার্থীরা) হাজার হাজার লোককে চাকরি দিয়ে মাল্টি-বিলিওনিয়ার হয়ে উঠেছে। যেটা এখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) করা সম্ভব ছিল।"
চলতি বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অভিবাসন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এক্ষেত্রে ট্রাম্প মেধাভিত্তিক বৈধ অভিবাসন নীতির পক্ষে নমনীয় অবস্থান নিয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে।
৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প আরও বলেন, "কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করলে আমি মনে করি ডিপ্লোমার অংশ হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রিন কার্ড পাওয়া উচিত; যাতে তারা এ দেশেই থাকতে পারেন। জুনিয়র কলেজের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হবে।"
ট্রাম্প আরও বলেন, "এটা খুবই দুঃখজনক যখন আমরা হার্ভার্ড, এমআইটি'র মতো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করা শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে পারি না।"
গ্রিন কার্ড কোনো ব্যক্তিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। যদিও আগে অভিবাসীরা 'আমাদের দেশের রক্তকে বিষিয়ে তুলছে'- বলেও মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প।
এমনকি আগামী নভেম্বরে পুনর্নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতারণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া তার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিবাসনের প্রতি নরম মনোভাব বলে বারবার আক্রমণও করেছেন ট্রাম্প।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসী অনুমোদন ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।
ট্রাম্প মুখে শুধু অনিবন্ধিত অভিবাসীদের কথা বললেও, তার ক্ষমতাকালে তিনি দেশটিতে বৈধ অভিবাসীদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করেছিলেন।
এদিকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখেরও বেশি ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি চীনের শিক্ষার্থী; যা সংখ্যায় ২৮৯,৫২৬ জন। আর ২৬৮,৯২৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। যা এর আগের বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান