লেবার নেতা হিসেবে স্টারমারকে শুরুর দিকে মনোনীত করাদের একজন টিউলিপ সিদ্দিক
শুরুর দিকে স্যার কিয়ার স্টারমারকে লেবার নেতা হিসেবে যে কয়জন মনোনীত করেছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন এমপি টিউলিপ সিদ্দিকও। এই স্টারমার প্রায় ১৪ বছর পর বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে দলকে ক্ষমতায় আনলেন।
তৎকালীন হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন এবং বর্তমানে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এমপি টিউলিপের বিশ্বাস ছিল, কিয়ারের পক্ষে দলকে ক্ষমতায় বসানো সম্ভব।
'পরবর্তী লেবার নেতার কথা চিন্তা করার ক্ষেত্রে আমার জন্য এক নম্বর অগ্রাধিকারের বিষয় হলো কে আমাদেরকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন,' ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে হারের পর জেরেমি করবিন সরে দাঁড়ালে তার জায়গায় তখন স্টারমারকে সমর্থন দেওয়ার সময় বলেছিলেন টিউলিপ।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টির নেতা হওয়ার প্রার্থীতার জন্য কমপক্ষে ২২ জন দলীয় এমপির সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। সে সময় প্রথমদিকে স্টারমারকে মনোনীত করা কয়েকজনের অন্যতম ছিলেন টিউলিপ টিউলিপ সিদ্দিক।
কিয়ার স্টারমার শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের এপ্রিলে এ লড়াইয়ে জয়ী হন এবং এর চার বছরের মাথায় তিনি লেবার পার্টিকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনলেন।
'কাকে মনোনীত করব সে সম্পর্কে যখন আমি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তখন আমি মনে মনে কল্পনা করেছি হাউজ অব কমন্সের ডিসপ্যাচ বক্সে আমি কাকে দাঁড়ানো দেখতে চাই, যিনি বরিস জনসনকে সামলাতে পারবেন, যিনি এ সরকারকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখবেন,' সে সময় টিউলিপ ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন।
টিউলিপের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিয়ারও
স্যার কিয়ার স্টারমার এবং টিউলিপ সিদ্দিক প্রায় এক দশক ধরে ঘনিষ্ঠ দলীয় সহকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। টিউলিপ ২০১৫ সাল থেকে কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে যখন টিউলিপ সিদ্দিককে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, তখন টিউলিপ পুরোনো স্মৃতিচারণ করতে ভোলেননি। তিনি জানান, হেইট স্পিচের শিকার হওয়ার পর কিয়ার স্টারমারই তাকে প্রথম ফোন করেছিলেন। তাদের সহকর্মী জো কক্স ২০১৬ সালের জুনে যখন খুন হন, তখনো স্টারমার থেকে সবার আগে ফোন পেয়েছিলেন টিউলিপ।
টিউলিপের এলাকার স্থানীয় সংবাদ ওয়েবসাইট হ্যামঅ্যান্ডহাই টিউলিপকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, টিউলিপ অসুস্থ হওয়ার সময়ও তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কিয়ার স্টারমার।
টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, 'আপনি যে পরিবর্তন চেয়েছিলেন, তার জন্য ভোট দিয়েছেন। এমন একজন নেতাকে ভোট দিয়েছেন যিনি সহানুভূতিশীল এবং দয়ালু।'
সবার এমপি হবেন টিউলিপ
প্রান্তিক আসন হিসেবে বিবেচ্য হওয়ায় হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের নির্বাচনি এলাকাটি ৪ জুলাই গভীর আগ্রহের তুঙ্গে ছিল।
২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য ২০২৩ সালে হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন নির্বাচনি এলাকার স্থলে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৫ সাল থেকেই এ আসন ধরে রেখেছেন লেবারের টিউলিপ সিদ্দিক।
টিউলিপ বলেন, হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের প্রতিনিধিত্ব করা তার 'জীবনের সম্মান'।
যারা তাকে ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, 'আপনি আমাকে ভোট না দিলেও আমি আপনার এমপি হব এবং আপনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করব।'