যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার হলেন টিউলিপ সিদ্দিক
টিউলিপ সিদ্দিককে ব্রিটেনের সিটি মিনিস্টার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গকে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এ পদে মন্ত্রীত্বের মাধ্যমে আর্থিক পরিষেবা খাতের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পাবেন টিউলিপ।
লেবার পার্টি গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বড় জয় পায়। এর ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কনজার্ভেটিভ দলের ঋষি সুনাকের স্থলাভিষিক্ত হন কিয়ার স্টারমার।
৪১ বছর বয়সি টিউলিপ সিদ্দিক ২০২১ সাল থেকে লন্ডনের 'দ্য সিটি' নামে পরিচিত আর্থিক পরিষেবা শিল্পের জন্য নীতিমালা তৈরিতে লেবারের উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তবে তার নিয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে লেবার সরকারের পক্ষ থেকে এখনো ঘোষণা করা হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মে মাসে টিউলিপ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, ব্রিটেনের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটিকে প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা ও প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আরও বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য চাপ দেবে লেবার পার্টি।
লেবার সরকারের নতুন অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস সোমবার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নিতে একটি নতুন 'জাতীয় মিশন' চালু করেন। এর আওতায় গৃহনির্মাণ বাড়ানো, অবকাঠামো প্রকল্পগুলো উন্মুক্ত করা এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ আকর্ষণ করার পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছেন তিনি।
টিউলিপ সিদ্দিক সিটি মিনিস্টার পদে প্রাক্তন এইচএসবিসি ব্যাঙ্কার বিম আফোলামির স্থলাভিষিক্ত হবেন।
১৪ বছর পর স্যার কিয়ার স্টারমারের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। শুরুর দিকে স্টারমারকে লেবার নেতা হিসেবে যে কয়জন মনোনীত করেছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন এমপি টিউলিপ সিদ্দিকও।
'পরবর্তী লেবার নেতার কথা চিন্তা করার ক্ষেত্রে আমার জন্য এক নম্বর অগ্রাধিকারের বিষয় হলো, কে আমাদেরকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন,' ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে হারের পর জেরেমি করবিন সরে দাঁড়ালে তার জায়গায় তখন স্টারমারকে সমর্থন দেওয়ার সময় বলেছিলেন টিউলিপ।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং টিউলিপ সিদ্দিক প্রায় এক দশক ধরে ঘনিষ্ঠ দলীয় সহকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। টিউলিপ ২০১৫ সাল থেকে কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।
এবারের নির্বাচনে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট থেকে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হওয়া টিউলিপ ফল ঘোষণার রাতে পুরোনো স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানান, হেইট স্পিচের শিকার হওয়ার পর কিয়ার স্টারমারই তাকে প্রথম ফোন করেছিলেন।
এছাড়া তাদের সহকর্মী জো কক্স ২০১৬ সালের জুনে যখন খুন হন, তখনো স্টারমারের কাছ থেকে সবার আগে ফোন পেয়েছিলেন টিউলিপ।
স্টারমার সম্পর্কে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, 'আপনি যে পরিবর্তন চেয়েছিলেন, তার জন্য ভোট দিয়েছেন। এমন একজন নেতাকে ভোট দিয়েছেন যিনি সহানুভূতিশীল এবং দয়ালু।'
২০২৩ সালে হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন নির্বাচনি এলাকার স্থলে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৫ সাল থেকেই এ আসন ধরে রেখেছেন লেবারের টিউলিপ সিদ্দিক।