ক্যামেরায় ধরা পড়ল ট্রাম্পের ওপর চালানো গুলির গতিপথ
পেন্সিলভানিয়ায় নির্বাচনি প্রচারণায় হামলার শিকার হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
কাকতালীয়ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথার পাশ দিয়ে যাওয়া একটি বুলেটের ছবি নিউ ইয়র্ক টাইমসের আলোকচিত্রী ডগ মিলসের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
২২ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট মাইকেল হ্যারিগানের মতে, মিলসের তোলা উচ্চ-রেজোলিউশনের ছবি থেকে ট্রাম্পের মাথার পাশ দিয়ে যাওয়া বুলেটের গতিপথ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। বুলেটের গতির কারণে এখানে বায়ুর স্থানান্তর ঘটেছে, যার কারণে এমন রেখা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
হ্যারিগান আরও বলেন, 'গুলির নিশানা একটু নীচু মনে হলেও বন্দুকধারী একাধিক রাউন্ড গুলি চালালে অসম্ভব কিছু ছিল না'।
মিলস একটি সনি ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করেছিলেন যা ৩০ ফ্রেমস পার সেকেন্ডে ছবি তুলতে পারে। মিলসের ক্যামেরার শাটার স্পিড সেটিংস সেকেন্ডে ১/৮০০০ থাকায়, খুব নিখুঁতভাবে ছবিগুলো তুলতে পেরেছিলেন— ব্যাখ্যা করেন হ্যারিগান।
ঘটনাস্থলে থাকা বন্দুকধারীর কাছে একটি এআর-১৫ টাইপ আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অবসরপ্রাপ্ত এফবিআই এজেন্ট মাইকেল হ্যারিগান ব্যাখ্যা করেছেন যে .২২৩ ক্যালিবার বা ৫.৫৬ মিলিমিটারের মতো রাইফেল থেকে ছোড়া বুলেটগুলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩,২০০ ফুট বেগে ভ্রমণ করে।
মিলসের ক্যামেরার শাটার স্পিড সেকেন্ডে ১/৮০০০-এ থাকার অর্থ ক্যামেরার শাটার এক সেকেন্ডের ৮০০০ ভাগের এক ভাগ সময়ের মধ্যে শাটার খোলা ও বন্ধ সম্পন্ন করে ছবি ধারণ করে।
সেকেন্ডের এই ক্ষুদ্র ভগ্নাংশের সময়, যদি একটি এআর-১৫ রাইফেল থেকে ছোড়া একটি বুলেট প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩,২০০ ফুট গতিতে ভ্রমণ করে, তবে ক্যামেরার শাটার খোলা থাকা অবস্থায় সেই সংক্ষিপ্ত মুহূর্তের মধ্যে এটি এক ফুটের প্রায় চার-দশমাংশ (যা প্রায় ৪.৮ ইঞ্চি) দূরত্ব অতিক্রম করবে।
সাধারণত গুলির গতিপথের ছবি ধারণ করার জন্য হাই-স্পিড স্পেশালিটির ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়, যেগুলো সাধারণ ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত হয় না। হ্যারিগান তাই উল্লেখ করেছেন যে, মিলসের সনি ডিজিটাল ক্যামেরার মতো একটি সাধারণ ক্যামেরা দিয়ে একটি বুলেটের গতিপথের ছবি ধারণ করার ঘটনা অত্যন্ত বিরল।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন