১১৭ বছর বয়সে মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি স্পেনের মারিয়া ব্রায়ানস মোরেরা মারা গেছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) ১১৭ বছর বয়সি এই নারীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
২০২৩ সালে ফরাসি নাগরিক নান লুসিল র্যান্ডন ১১৮ বছরে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মারিয়া ব্রায়ানাসকে স্বীকৃতি দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে তার পরিবার বলেছে, "মারিয়া ব্রায়ানস আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন ঘুমের মধ্যে, শান্তি ও যন্ত্রণা ছাড়া যেন তার মৃত্যু হয়। সেটিই হয়েছে। আমরা সবসময় তাকে তার মহানুভবতা এবং উপদেশের জন্য মনে রাখব।"
ব্রায়ানস গত দুই দশক ধরে স্পেনের সান্তা মারিয়া দেল তুরা নার্সিং হোমে ছিলেন। কয়েকদিন আগে এক পোস্টে জানিয়েছিলেন নিজের শরীরে এখন দুর্বলতা অনুভব করছেন তিনি।
গতকাল (মঙ্গলবার) পোস্টে মারিয়া লিখেছিলেন, "সময় ঘনিয়ে এসেছে। কান্না করবেন না। আমি কান্না পছন্দ করি না। সবকিছুর উপরে, আমার জন্য ভোগান্তি পোহাবেন না। যেখানেই আমি যাব, খুশি থাকব।"
মারিয়া ব্রায়ানস ১৯০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সান ফ্রান্সিসকোতে জন্ম নেন। এর কয়েক বছর আগে তার পরিবার মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যায়। তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯১৫ সালে তারা তাদের আদি নিবাস স্পেনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় এবং একটি জাহাজে চড়ে। তবে এই যাত্রায় তার বাবা টিউবারকিউলিসে আক্রান্ত হয়ে জাহাজেই মারা যান। কোনো উপায় না থাকায় তার বাবার কফিনটি সমুদ্রে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
১৯৩১ সালে তিনি কাতলান ডাক্তার জোয়ান মোরেটকে বিয়ে করেন। তার তিন সন্তান। ১৯৭৬ সালে তার স্বামী মারা যান। তার ছেলে অগাস্টও ৮৬ বছর বয়সে ট্র্যাক্টর দুর্ঘটনায় মারা যান। বেঁচে থাকতে ছেলে ও স্বামী দুইজনেরই মৃত্যু দেখেছেন তিনি।
ব্রানিয়াস ১৯১৮ সালের ফ্লু, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং স্পেনের গৃহযুদ্ধের সাক্ষী। এমনকি নিজের ১১৩তম জন্মদিনের কয়েক সপ্তাহ পরে ২০২০ সালে কোভিডেও আক্রান্ত হন তিনি। সেসময় তিনি তার বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন এবং সুস্থ হয়ে ওঠেন।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান