‘নির্যাতিতদের আর্তচিৎকার ছিল ভয়ংকর’: মাইকেল চাকমার ‘আয়নাঘর’-এ বন্দি থাকার দুঃসহ স্মৃতি
ঢাকায় বৃষ্টির মধ্যে যে মানুষটি বাইরে বের হলেন, তিনি পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে সূর্যের আলো দেখেননি।
মেঘলা দিনেও তার চোখগুলোর আলোতে অভ্যস্ত হতে কষ্ট হচ্ছিল কারণ তিনি অর্ধ দশক ধরে একটি এমন একটি বন্ধ ঘরে কাটিয়েছেন, যেখানে প্রায়ই কোনো সূর্যের আলো আসতো না। সেখানে দিনের পর দিন তার কানে ভেসে এসেছে একটি শিল্প পাখার শব্দ আর নির্যাতিতদের আর্তনাদ।
রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে তিনি তার বোনের ফোন নম্বরটি মনে করার চেষ্টা করছিলেন।
২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে সেই বোনটি একটি প্রতিবেদন পড়ছিলেন যেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কুখ্যাত সামরিক গোয়েন্দা সদর দপ্তর; যা 'আয়নাঘর' নামে পরিচিত, সেখান থেকে কিছু পুরুষকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এরা সেই ব্যক্তি, যাদের শেখ হাসিনার ক্রমবর্ধমান একনায়কতান্ত্রিক শাসনামলে নিখোঁজ বলে দাবি করা হয়েছিল। মূলত তারা ছিলেন সরকারের সমালোচক যারা একদিন হুট করে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।
আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা যখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সেই ব্যক্তিদের 'আয়নাঘর' থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছিল।
বাংলাদেশের এক দূরবর্তী কোণে বসে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকা তার বোন ভাবছিলেন, তার ভাই– যার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া তারা দুই বছর আগে করেছিল কারণ তার সন্ধান পাওয়ার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন হতে পারেন কি না?
২০১৯ সালের এপ্রিলে ঢাকা শহর থেকে যখন কিছু মানুষ মাইকেল চাকমাকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে দেয়, তখন তিনি ভেবেছিলেন যে এটি তার জীবনের শেষ দিন।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের অধিকারের জন্য বছরের পর বছর আন্দোলন করার কারণে কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন তিনি। এই অঞ্চলের মানুষ বৌদ্ধ, যারা বাংলাদেশের ১৭ কোটির জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, মাইকেল চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন এবং সেখানে সামরিক শাসনের অবসানের জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
অপহরণের একদিন পর তাকে ঢাকায় ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) এর সদর দপ্তরের ভেতরে 'আয়নাঘর' নামক একটি ভবনের সেলে বন্দি করা হয়। এটি এমন একটি ভবন যেখানে স্থানীয় ও বিদেশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হতো। তবে এটি আরো ভয়ংকর কিছুর জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছিল।
মাইকেল যে ছোট সেলে বন্দি ছিলেন, সেখানে কোনো জানালা ছিল না এবং কোনো রোদও আসত না, শুধু দুটি গর্জনরত এক্সিস্ট ফ্যান ছিল।
কিছু সময় পর, "আপনি সময় ও দিনের হিসাব হারিয়ে ফেলবেন," মাইকেল চাকমা স্মরণ করে বলেন।
তিনি বলেন, "আমি অন্য বন্দিদের কান্নার শব্দ শুনতে পেতাম। যদিও আমি তাদের দেখতে পারতাম না, তাদের আর্তচিৎকার ছিল ভয়ংকর।"
তিনি পরে জানতে পারেন, সেই কান্নার শব্দ ছিল সেখানে বন্দি থাকা অন্য ব্যক্তিদের, যাদের অনেককেই তখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল।
মাইকেল বলেন, "তারা আমাকে একটি চেয়ারে বেঁধে খুব দ্রুত ঘোরাত। প্রায়ই তারা আমাকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার হুমকি দিত। তারা জানতে চাইত, কেন আমি শেখ হাসিনার সমালোচনা করেছি।"
ডিটেনশন সেন্টারের বাইরে মিন্টি চাকমার কাছে তার ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার শোক ক্রমশই আতঙ্কে পরিণত হচ্ছিল।
তিনি বলেন, "আমরা কয়েকটি থানায় খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা বলেছিল, তার সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই এবং তিনি তাদের হেফাজতে নেই।"
তিনি আরও বলেন, "মাসের পর মাস চলে গেল আর আমরা আতঙ্কিত হতে শুরু করলাম। আমার বাবারও শরীর খারাপ হতে লাগল।"
মাইকেলকে খুঁজে বের করার জন্য একটি বিশাল প্রচারণা চালানো হয় এবং মিন্টি ২০২০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। কিন্তু কিছুতেই কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
মিন্টি বলেন, "আমাদের পুরো পরিবার অনেক মানসিক যন্ত্রণা এবং কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছে। আমার ভাই কোথায় আছে– না জানাটা খুবই ভয়াবহ ছিল।"
তারপর ২০২০ সালের আগস্ট মাসে মাইকেলের বাবা কোভিডে মারা যান। প্রায় ১৮ মাস পর পরিবারটি সিদ্ধান্ত নেয়, মাইকেলও হয়ত মারা গেছেন।
মিন্টি চাকমা বলেন, "আমরা তার (মাইকেল) বেঁচে থাকবার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তাই আমাদের বৌদ্ধ রীতি অনুযায়ী আমরা তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করার সিদ্ধান্ত নিই, যাতে তার আত্মা দেহ থেকে মুক্তি পেতে পারে। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা তা করেছি। আমরা সবাই অনেক কেঁদেছিলাম।"
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তারা প্রায় ৬০০টি অভিযোগকৃত গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। পরবর্তী বছরগুলোতে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে তাদের শাসনের জন্য হুমকি হতে পারে– এমন সমালোচক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্য করে দমন ও নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ আনা হয়। তবে হাসিনা ও তার সরকার সবসময় এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
কিছু নিখোঁজ ব্যক্তিকে শেষ পর্যন্ত মুক্তি দেওয়া হয় বা আদালতে হাজির করা হয় আর কিছু লোককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, এখনও প্রায় ১০০ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা থেকে পরিচালিত গোপন কারাগারের গুজব, নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। মিন্টি বিভিন্ন ভিডিও দেখতেন যেগুলোতে গুমের ঘটনা বর্ণনা করা হতো আর প্রার্থনা করতেন, যেন তার ভাই কোথাও আটক হয়ে থাকে।
কিন্তু রাজধানীতে এমন একটি স্থাপনার অস্তিত্ব ২০২২ সালের মে মাসে নেত্র নিউজের একটি তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, এটি ঢাকার সামরিক ক্যাম্পের ভেতরে শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। প্রতিবেদনটিতে ভবনের ভেতরের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাগুলোও তুলে ধরা হয়, যেগুলোর বর্ণনা মাইকেলের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলে যায়।
এই বর্ণনাগুলো ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আয়নাঘরে প্রথমবার আটক হওয়া কাতার ও ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামানের অভিজ্ঞতার সঙ্গেও মিলে যায়।
বিবিসিকে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারটি একটি বিরল মুহূর্তের অংশ কারণ তিনি তার ১৫ মাসের দুঃসহ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে খুব কমই কথা বলেছেন। মুক্তির শর্ত হিসেবে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন, তিনি প্রকাশ্যে কিছু বলবেন না।
কমপ্লেক্সের দেওয়ালের ভেতরে কী ঘটেছিল তা নিয়ে যারাই কথা বলেছেন, তাদের মতো তিনিও ভয় পাচ্ছিলেন যে যদি তিনি কথা বলেন তাহলে বিপদ হতে পারে।
২০২২ সালে নেত্র নিউজের সঙ্গে তিনি খোলাখুলি কথা বলেছিলেন কারণ ততদিনে তিনি আর বাংলাদেশে ছিলেন না। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ আগস্ট থেকেই মারুফ জামান কথা বলার মতো নিরাপদ অনুভব করেছেন।
তিনি তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, কীভাবে তাকেও একটি সূর্যালোকহীন কক্ষে রাখা হয়েছিল, যেখানে দুটি গর্জনরত এক্সস্ট ফ্যান বাইরে থেকে আসা যে কোনো শব্দকে ঢেকে দিত। তার জিজ্ঞাসাবাদের মূল বিষয় ছিল, তিনি সরকারের কেন্দ্রীয় দুর্নীতির বিষয়ে যে প্রবন্ধগুলো লিখেছিলেন তা নিয়ে।
তারা জানতে চেয়েছিল, কেন তিনি শেখ হাসিনার ভারত সরকারের সঙ্গে করা "অসম চুক্তি" সম্পর্কে লিখছিলেন, যা দিল্লির পক্ষে ছিল।
মারুফ বলেন, "প্রথম সাড়ে চার মাস ছিল যেন মৃত্যুযাত্রা। আমাকে বারবার মারধর, লাথি মারা এবং বন্দুকের মুখে হুমকি দেওয়া হতো। এটি ছিল অসহনীয়, আমি ভাবতাম শুধু মৃত্যু আমাকে এই নির্যাতন থেকে মুক্তি দিতে পারে।"
কিন্তু মাইকেলের মতো তাকে একই জায়গায় আটকে না রেখে অন্য একটি ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। "বহুদিন পর প্রথমবারের মতো আমি পাখির ডাক শুনলাম। এটি এত আনন্দের ছিল যে আমি সেই অনুভূতি বর্ণনা করতে পারব না," মারুফ স্মরণ করে বলেন।
অবশেষে ২০১৯ সালের মার্চের শেষের দিকে তার মেয়েদের এবং সমর্থকদের প্রচারণার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, তার এক মাস পর মাইকেলকে সেলে বন্দি করা হয়েছিল।
খুব কম মানুষই বিশ্বাস করেন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শীর্ষ নেতৃত্বের অজান্তেই ঘটেছে। কিন্তু যখন মাইকেল চাকমার মতো লোকেরা বছরের পর বছর গোপন কারাগারে দিন কাটাচ্ছিলেন তখন শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রীরা এবং তার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী অপহরণের অভিযোগগুলো সরাসরি অস্বীকার করছিলেন।
শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। বরং "কিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেতৃত্ব যারা আইন অমান্য করেছে" তাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
জয় বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "আমি একদমই একমত যে এটি পুরোপুরি বেআইনি। আমি বিশ্বাস করি না, এই আদেশগুলো ওপর থেকে এসেছে। আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমি নিজেও এটি শুনে হতবাক।"
অনেকেই তার এই অস্বীকারের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। মাইকেলের পাশাপাশি, আয়নাঘর থেকে আরও উচ্চ-প্রোফাইল ব্যক্তিরাও বেরিয়ে এসেছেন– যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন: অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহী আমান আজমি এবং ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম। দুজনেই প্রায় আট বছর গোপনে বন্দি ছিলেন।
এটি স্পষ্ট যে মাইকেল ও অন্যান্য রাজনীতিবিদদের পুনরায় আবির্ভাব থেকে দেখা যায়, "বাংলাদেশে নতুন কর্তৃপক্ষের জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সব গোপন আটকস্থল প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেওয়ার এবং যারা নিখোঁজ ছিলেন তাদের বিষয়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রয়োজন রয়েছে," জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র রবিনা শামদাসানি বলেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার শাসনকালে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো থেকে ঘটানো গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে।
আর যারা এই দুঃসহ অভিজ্ঞতা থেকে বেঁচে ফিরেছেন, তারা ন্যায়বিচার চান। মারুফ জামান বলেন, "আমরা চাই অপরাধীরা শাস্তি পাক। সব ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাক।"
শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মাত্র দুই দিন পর, আয়নাঘরের বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঠিক কি করবেন– তা বুঝে উঠতে সংগ্রাম করছিলেন মাইকেল চাকমা। তাকে মুক্তি দেওয়ার কথা মাত্র ১৫ মিনিট আগে জানানো হয়েছিল। সবকিছু হজম করা তার জন্য কঠিন ছিল।
তিনি বলেন, "আমি আমার বোনের ফোন নম্বরের শেষ দুটি সংখ্যা ভুলে গিয়েছিলাম। অনেক চেষ্টা করলাম মনে করতে, কিন্তু পারলাম না। তারপর এক আত্মীয়কে ফোন করলাম, তিনি তাদের জানালেন।"
কিন্তু মিন্টি ইতোমধ্যেই জানতেন কারণ তিনি ফেসবুকে খবরটি দেখেছিলেন। "আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম," মিন্টি দুই সপ্তাহ পর চোখের পানি মুছতে মুছতে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, "পরদিন মাইকেল আমাকে ফোন করে। পাঁচ বছর পর ভিডিও কলের মাধ্যমে ওকে দেখলাম। আমরা সবাই কাঁদছিলাম। আমি তাকে চিনতেই পারিনি।"
গত সপ্তাহে পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো ভাইকে সামনাসামনি দেখলেন মিন্টি; দুর্বল, মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত– কিন্তু তার ভাই বেঁচে আছেন।
মিন্টি চাকমা বলেন, "তার (মাইকেল) কণ্ঠস্বর অন্যরকম শোনাচ্ছিল।"
অন্যদিকে মাইকেল দীর্ঘদিন অন্ধকারে থাকার ফলে তার স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলোর সঙ্গে লড়াই করছেন।
তিনি বলেন, "আমি ঠিকমতো নম্বর বা লেখা দেখতে পারি না, সব ঝাপসা লাগে। আমি চিকিৎসা নিচ্ছি আর ডাক্তার আমাকে চশমা দিয়েছেন।"
এর চেয়েও বড় হলো, তিনি যা হারিয়েছেন তা মেনে নেওয়া। মুক্তির কয়েক দিন পর তাকে তার বাবার মৃত্যুর কথা জানানো হয়। তবুও এই কষ্টের মধ্যে তিনি আশাবাদী, এমনকি সুখী।
মাইকেল চাকমা বলেন, "এটা কেবল নতুন জীবনের সুযোগ নয়, যেন পুনরুত্থান। মনে হচ্ছে আমি মৃত ছিলাম এবং আবার জীবিত হয়েছি। এই অনুভূতি বর্ণনা করতে পারব না।"
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়