চীনকে মোকাবিলায় পারমাণবিক সাবমেরিন বানাবে ভারত, কিনবে ড্রোনও
পারমাণবিক শক্তিচালিত দুটি সাবমেরিন তৈরি করবে ভারত। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৩১টি দূরপাল্লার ড্রোন কিনবে তারা। অনুমান করা হচ্ছে এসবে ভারতের খরচ হবে প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন রুপি বা ৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের সামরিক আধিপত্য মোকাবেলায় এসব পদক্ষেপ ভারতকে সহায়তা করবে।
গত বুধবার ভারতের মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় কর্মকর্তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
প্রথমবারের মতো ভারতের স্থানীয় শিপইয়ার্ডেই পারমাণবিক শক্তিচালিত এ দুটি সাবমেরিন তৈরি করা হবে। ডিজেল চালিত সাবমেরিনগুলোর তুলনায় এগুলো অনেক উন্নত হবে। এগুলো অত্যন্ত দ্রুতগতির হয়ে থাকে এবং এগুলো অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডুবে থাকতে পারে। তাছাড়া এগুলো আকারে বড় হওয়ায় বেশি পরিমাণে অস্ত্র, সরঞ্জাম ও মালপত্র বহন করা যায়।
অস্ট্রেলিয়াও যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ সংগঠন এইউকেইউএস'র উদ্যোগে এধরণের সাবমেরিন তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এর আগে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়ায় পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন ব্যবহার করা হতো।
এক্ষেত্রে পা রাখার মাধ্যমে ভারতও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নজরদারি ও নিরাপত্তা বাড়াতে পারবে। কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ বা কোয়াডের সদস্য হিসেবে চীনের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কাজ করতে পারবে।
এ বিষয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলে তারা অনুরোধের জবাব দেয়নি।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা জায়ান্ট জেনারেল অ্যাটমিকসের তৈরি ৩১টি দূরপাল্লার ড্রোন কেনার অনুমোদনও দিয়েছে ভারত। এমকিউ-৯বি ড্রোন প্রায় ৪৮ ঘণ্টা উড়তে পারে এবং এটি প্রায় ১,৭০০ কেজি (৩,৭০০ পাউন্ড) মালপত্র বহন করতে সক্ষম। এটি ভারতের নৌবাহিনীর জন্য দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে চীনা যুদ্ধজাহাজগুলির নজরদারি বাড়াতে এবং হিমালয়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বিতর্কিত সীমান্তে আক্রমণ করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সহায়তা করবে।
এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে সাবমেরিন এবং ড্রোন চুক্তির বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।