ইসরায়েলের হামলা ঠেকানো হয়েছে, 'ক্ষয়ক্ষতি সীমিত': ইরান
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে ইরানের 'সমন্বিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা' হামলাটি সফলভাবে প্রতিহত করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ।
আইআরএনএ জানিয়েছে, তেহরান, ইলাম এবং খুজেস্তান প্রদেশে কিছু সামরিক স্থানে হামলা হয়েছে, তবে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর ছিল এবং ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা 'সীমিত'। এ ঘটনার মাত্রা তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি এই হামলার সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন।
হাগারি বলেন, "রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশে আমরা ইরানের বিভিন্ন স্থানে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছি, যার মধ্যে রয়েছে সেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রগুলো যা গত বছর ইসরায়েলের ওপর হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল।"
তিনি জানান, ইরানের ভূমি থেকে আকাশে আঘাত হানার সক্ষমতাকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে, যা ইরানে ইসরায়েলের বিমান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছিল। এর ফলে এখন ইরানে ইসরায়েলের বিমান চলাচলে আরও স্বাধীনতা রয়েছে।
হাগারি বলেন, "ইরান দুইবার ইসরায়েলের ওপর হামলা করেছে, যার মধ্যে কিছু হামলা বেসামরিক মানুষের জন্য বিপজ্জনক ছিল, তাই তাদের প্রয়োজনীয় জবাব দেওয়া হয়েছে"। তিনি আরও বলেন, "আমাদের কাছে লক্ষ্যবস্তুগুলোর একটি বিস্তৃত তালিকা রয়েছে এবং প্রয়োজনে আমরা সেখান থেকে নতুন লক্ষ্য বাছাই করতে জানি।"
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা সেই সমস্ত উৎপাদন স্থানে হামলা করেছে যেগুলো থেকে ইরান গত এক বছর ধরে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তবে, এই স্থাপনাগুলো কি ইরানের সহযোগী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের জন্যও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে, তা স্পষ্ট নয়।
শুক্রবার সকালে হামলার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে এক সপ্তাহের আলোচনা শেষে নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ইরানের শক্তি অবকাঠামোতে হামলা করতে নিষেধ করেছিল, যাতে বড় ধরনের সংঘর্ষ না হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েল সম্ভবত এই অনুরোধ মেনে নিয়েছে।