সুখকে প্রাধান্য দেওয়া ভুটান এখন অস্তিত্ব সংকটে, রেকর্ড সংখ্যায় দেশ ছাড়ছেন তরুণরা
বিশ্বের সামনে "গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস" (সামগ্রিক জাতীয় সুখ)-এর ধারণা উপস্থাপন করা ভুটান এখন এক বড় সমস্যার মুখোমুখি। দেশটির তরুণ প্রজন্ম রেকর্ড সংখ্যায় দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
দেশটিতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা, ক্রমবর্ধমান গড় আয়ু এবং গত ৩০ বছরের উন্নয়নশীল অর্থনীতি থাকা সত্ত্বেও তরুণরা দেশত্যাগ করছেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে মনে করেন, এই দেশত্যাগের পেছনে এক ধরনের বেমানান সাফল্য কাজ করছে। তিনি বলেন, "গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস"-এর সাফল্যই বিদেশে ভুটানের তরুণদের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে।
"এটি এক ধরনের অস্তিত্ব সংকট," মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী তোবগে।
বাইরের বিশ্ব থেকে নিজেকে আলাদা রেখেছিল ভুটান
ভুটান শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাকি বিশ্বের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রেখেছিল। দেশটি অনন্য বৌদ্ধ সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে এতটাই সতর্ক ছিল যে, ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়নি এবং ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত টেলিভিশনের প্রচলন ঘটায়নি।
বৌদ্ধ ধর্ম ভুটানের জাতীয় ধর্ম। এখানকার মানুষ, বিশেষ করে বয়স্ক নারী ও পুরুষরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থসমৃদ্ধ প্রার্থনা চক্র ঘুরিয়ে প্রার্থনায় মগ্ন থাকেন। পাহাড় ও জঙ্গলে উড়তে থাকা প্রার্থনার পতাকাগুলো প্রকৃতিকেই এক ধরনের পূজাস্থলে পরিণত করে।
ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এখনও কোনো ট্র্যাফিক সিগন্যাল নেই। সড়কগুলোতে গাড়ি আর গরু পাশাপাশি চলাচল করে।
ভুটানের প্রথম পত্রিকা চালু করার পর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা ও পরবর্তীতে তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা দাশো কিনলে দরজি দেশটির জনগণকে এক ধরনের 'শঙ্কিত' বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ভুটান এমন একটি দেশ, যা ভারত ও চীনের মাঝে অবস্থিত। এর সামরিক শক্তি কিংবা উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই।
দাশো কিনলে দরজি বলেন, "আমাদের শক্তি ছিল আমাদের পরিচয়ে, চারপাশের সবার থেকে ভিন্ন হতে পারাতে।"
ভুটানের মানুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন এবং স্থাপত্যেও প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারা বজায় রাখেন। দেশটির সংস্কৃতি এখনো গভীরভাবে টিকে আছে।
"আমরা বুঝতে পেরেছি, অতীতে যা ছিল, যা পুরোনো, তা আসলেই খুব মূল্যবান," বলেন দরজি।
ভুটান অতীতে যেমন কৃষিনির্ভর সমাজ ছিল, এখনও মূলত তেমনই রয়েছে । অনেক পরিবার এখনো বহু প্রজন্ম ধরে একই কৃষিভিত্তিক বাড়িতে বসবাস করে।
১৯০৭ সালে দেশটির প্রথম রাজা ভুটানকে একীভূত করেন। তার পুত্র ও নাতিরা, যাদের ভুটানে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং বর্তমানে পঞ্চম রাজা বলা হয়, তখন থেকে আজ পর্যন্ত শাসনভার চালিয়ে আসছেন।
ভুটানের আধুনিকায়নের অনন্য পথ
ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুক ১৯৭০-এর দশকে যুবক বয়সে সিংহাসনে বসে দেশটিকে আধুনিকতার পথে এগিয়ে নিয়ে যান।
কিউবায় এক নিরপেক্ষ জাতির শীর্ষ সম্মেলন থেকে ফেরার পথে, ভারতের একটি বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা তাকে ভুটানের মোট জাতীয় উৎপাদন (জিএনপি) সম্পর্কে প্রশ্ন করেন।
দাশো কিনলে দরজি স্মরণ করে বলেন, "রাজা তখন বলেন, 'আসলে, ভুটানে আমাদের জন্য জিএনপি'র চেয়ে গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস (মোট জাতীয় সুখ) অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'"
এই বাক্যটি দ্রুত আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে। গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস বাড়ানোই ভুটান সরকারের প্রধান দায়িত্ব হয়ে ওঠে, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বলেন, "গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস (জিএনএইচ) স্বীকার করে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেই প্রবৃদ্ধি হতে হবে টেকসই।"
তিনি আরও বলেন, "এটি আমাদের অনন্য সংস্কৃতি রক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। মানুষ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সুখ, আমাদের মঙ্গল জরুরি। প্রতিটি কাজ সেই লক্ষ্যেই হওয়া উচিত।"
প্রতি পাঁচ বছর পরপর জরিপ করে সারা ভুটান জুড়ে মানুষের সুখের মান পরিমাপ করা হয়। এই ফলাফল বিশ্লেষণ করে সরকারি নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
"গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস মুহূর্তের সুখের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়," বলেন তোবগে। তিনি আরও বলেন, "এক ধরনের সুখ ক্ষণস্থায়ী, এটি একটি আবেগ, একটি আনন্দ।"
তবে ভুটান যে সুখকে গুরুত্ব দেয় তা হলো, সন্তুষ্টি– জীবন এবং নিজের প্রতি সুখী থাকা।
জিএনএইচ প্রকৃতি সংরক্ষণকেও অন্তর্ভুক্ত করে। আইন অনুযায়ী, ভুটানের অন্তত ৬০ শতাংশ বনাঞ্চল সংরক্ষিত রাখতে হবে। দেশের বেশিরভাগ শক্তি জলবিদ্যুৎ থেকে আসে। ফলে ভুটান কার্বন নেগেটিভ দেশ হিসেবে প্রথম এবং এখনো বিরল দেশগুলোর একটি।
ভুটান অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎ ভারতকে বিক্রি করে এবং পর্যটন থেকেও বৈদেশিক আয় অর্জন করে। তবে এ ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা আছে। ভুটানের অসাধারণ পাহাড়ি সৌন্দর্য থাকলেও, শৃঙ্গে আরোহণ নিষিদ্ধ।
দাশো কিনলে দরজি বলেন, "ভুটানিদের জন্য পাহাড়গুলো পবিত্র।"
ভুটানের স্কুলগুলোতে বিনামূল্যে ও ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হয়। দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবাও বিনামূল্যে দেওয়া হয়।
রাজতন্ত্র থাকা সত্ত্বেও ভুটান একটি গণতান্ত্রিক দেশ।
ভুটানে গণতন্ত্রের সূচনা
গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস চালু করার ২৫ বছর পর ভুটানের চতুর্থ রাজা সিদ্ধান্ত নেন, একটি নির্বাচিত সংসদ এবং একজন প্রধানমন্ত্রী থাকা তার দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে ।
প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বলেন, "এটা একমাত্র দেশ, যেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতার সময় গণতন্ত্র চালু করা হয়েছে।"
সাংবাদিক কিনলে দরজি বলেন, রাজা তার জনগণের সঙ্গে আলোচনা করতে নানা সভার আয়োজন করেছিলেন। দরজি মনে করেন, তখন মানুষ রাজাকে গণতন্ত্রের ধারণা গ্রহণ করতে নিষেধ করছিল।
দরজি বলেন, "কারণ তারা যখন চারপাশে তাকাত, তাদের দৃষ্টির সামনে ছিল ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের গণতন্ত্র। সেগুলো সহিংসতা, দুর্নীতির সাথে সমার্থক ছিল। তাই তারা বলেছিল, 'না, ধন্যবাদ। আমাদের এর দরকার নেই। আমরা ঠিক আছি।'"
কিন্তু রাজা তাদের যুক্তি মেনে নেননি। তার মতে, "যে নেতা যোগ্যতার বদলে জন্মসূত্রে নির্বাচিত হয়, সে একদিন দেশকে বিপদের দিকে নিয়ে যেতে পারে।"
এরপর, মাত্র ৫১ বছর বয়সে রাজা সিংহাসন ত্যাগ করেন এবং তার ২৬ বছরের পুত্রকে সিংহাসনে বসান, যিনি বর্তমানে ভুটানের পঞ্চম রাজা। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ভুটানি জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।
আজ, পঞ্চম রাজা ৪৪ বছর বয়সে দেশব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী তোবগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন।
কেন তরুণরা রেকর্ড সংখ্যায় ভুটান ছেড়ে যাচ্ছে?
বর্তমানে ভুটান একটি 'আউটমাইগ্রেশন' সংকটের সম্মুখীন, যেখানে তরুণরা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন।
কোভিড-১৯ মহামারি ভুটানের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, বিশেষত পর্যটন খাতকে। আর্থিক পুনরুদ্ধার ধীর গতিতে চলছে। ফলে অনেক ভুটানি, বিশেষত তরুণরা, উচ্চ-বেতনের চাকরি খুঁজতে বিদেশে চলে গেছেন।
তাদের ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকায় অস্ট্রেলিয়ায় অনেকেই নিম্নমানের কাজেও ভালো পারিশ্রমিক পাচ্ছে। এই সুযোগের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এবং এখন দেশটির প্রায় ৯ শতাংশ জনসংখ্যা বিদেশে চলে গেছে, যাদের বেশিরভাগই যুবক-যুবতী।
প্রধানমন্ত্রী তোবগে বলেন, "এটি ভুটানের জন্য একটি কঠিন পরিস্থিতি।"
তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য রাজা কী পরিকল্পনা নিয়েছেন?
এই সংকটের প্রতি সাড়া দিয়ে ভুটানের রাজা একটি সাহসী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, যাতে মানুষদের ফিরিয়ে আনা যায়।
প্রধানমন্ত্রী তোবগে পর্যটক এবং আরও ব্যবসা আনার জন্য কাজ করছেন। তবে শুধু পর্যটন দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই রাজা দক্ষিণ ভুটানে একটি নতুন শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেখানে থাকবে ভিন্ন নিয়মকানুন, যা দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ভুটানি মূল্যবোধকে সমর্থন করবে।
নতুন শহরটির নাম হবে গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি। এটি ডিজাইন করেছেন ডেনিশ স্থপতি বিয়ারকে ইংগেলস। শহরটি নদীগুলোর মধ্যে বসবাসের উপযোগী এলাকা তৈরি করবে, যেখানে বিশেষ ধরনের সেতু দিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গা সংযুক্ত হবে।
এসব সেতু জনসাধারণের জন্যও ব্যবহারযোগ্য হবে, যেমন একটি সেতু থাকবে বুদ্ধিস্ট সেন্টারের জন্য, অন্যটি স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার জন্য এবং আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য।
এখানে কোনো উঁচু ভবন থাকবে না এবং সব নির্মাণ কাজ হবে স্থানীয় উপকরণ দিয়ে।
শহরটি আগামী ২০ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে নির্মিত হবে এবং সেখানে কোনো দূষণকারী শিল্পের অনুমতি থাকবে না।
শহরটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতেও গুরুত্ব দেবে যেমন, হাতির জন্য বন্যপ্রাণী করিডোর থাকবে।
ভুটানের ভবিষ্যৎ গঠনে রাজার দৃষ্টি
রাজা মনে করেন, গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি প্রকল্পের সফলতা ভুটানের ভবিষ্যৎ গঠন করবে।
প্রকল্পটি প্রমাণ করবে, ভুটান তার সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত মূল্যবোধকে বজায় রেখে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী তোবগে বলেন, "যখন আমরা বলি আমরা গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেসের নীতিগুলো অনুসরণ করি, তা মানে এই নয় যে আমরা কমে খুশি… আমরা ধনীও হতে চাই। আমরা প্রযুক্তিগতভাবে উচ্চমানেরও হতে চাই। আমরা চাই, ভুটানিরা মাল্টি-মিলিয়ন ডলার কোম্পানির, বহুজাতিক কোম্পানির নেতৃত্ব দিক।"
বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা ভুটানের এই নতুন শহর তৈরির জন্য সহকর্মী হয়েছেন এবং শহরটি নির্মাণের জন্য বিনিয়োগকারীদের খোঁজা হচ্ছে।
শহরটি পরিষ্কার জলবিদ্যুৎ শক্তির উপর চলবে এবং সিঙ্গাপুরের মতো একটি আইনগত কাঠামো অনুসরণ করবে, যার লক্ষ্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শিল্পকে আকৃষ্ট করা।
রাজা এবং জনগণের একাত্মতা
গত ডিসেম্বর, রাজা গেলেফু মাইন্ডফুলনেস শহরের পরিকল্পনা জনসাধারণের সামনে উপস্থাপন করেন।
নামগে জাম, যিনি ভুটানের সংবাদ উপস্থাপক ছিলেন, সেই দিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি ও তার পরিবার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু রাজার আহ্বানে তিনি ঠিক করেন, তিনি দেশে থাকবেন।
রাজা জনগণের কাছে সরাসরি সাহায্য চেয়েছিলেন, এবং জাম অনুভব করেছিলেন যে, এটি তার একটি সামাজিক চুক্তি।
জাম বলেন, "তিনি সেই কাজটি করেছেন যা আগে কোনো রাজা করেননি। তিনি সরাসরি জনগণের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'আপনারা কি আমাকে সাহায্য করবেন?' এবং তারপর একটা হতবাক নীরবতা ছড়িয়ে পড়েছিল।"
তিনি বলেন, "আমার জন্যও এটি এক ধরনের শক ছিল। আমি ভাবছিলাম, 'তিনি কি সত্যিই আমাদের সাহায্য করতে বললেন?' তারপর তিনি দ্বিতীয়বার বললেন, 'আপনারা কি আমাকে সাহায্য করবেন?'"
জামের জন্য, এটি ছিল 'হ্যাঁ'।
"আমি বাড়ি ফিরে গিয়ে আমার স্বামীকে বললাম, 'আমরা যেতে পারি না,'" জাম বললেন। "তিনি বললেন, 'কেন?' আমি বললাম, 'আমি রাজার সঙ্গে একটি সামাজিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি, কারণ আমি হ্যাঁ বলেছিলাম।'"
জাম এবং তার স্বামী অস্ট্রেলিয়া যাননি, কিন্তু রাজা এবং তার পরিবার সেখানে গিয়েছিলেন।
তিনি গত মাসে দেশটি সফর করেন, নতুন গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটি এবং ভুটানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী ২০ হাজারের বেশি ভুটানির সামনে বক্তৃতা দিতে। তার লক্ষ্য, একদিন তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা।
স্থপতি বিয়ারকে ইংগেলস বলেন, "যদি আমরা সফল হই তাহলে আমরা দেখাতে পারব, প্রকৃতিকে স্থানচ্যুত না করে এবং স্থানীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে ভিত্তি করে একটি শহর তৈরি করা সম্ভব। এবং এতে বেড়ে ওঠা ও সমৃদ্ধি ঘটানোর সুযোগও থাকবে।"
তিনি বলেন, "এটি এমন এক সংগ্রাম, যা পৃথিবীর অনেক জায়গা মোকাবিলা করছে।"
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়