সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী আমার ছেলে না: ছেলের ভারতে পালিয়ে থাকার কারণ জানালেন বাবা
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানকে গত সপ্তাহে বাসায় ঢুকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সদস্য বলে জানিয়েছেন তার বাবা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। শুক্রবার এনডিটিভির সঙ্গে টেলিফোন আলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, "তার ছেলের বয়স ৩০ বছর। তার চেহারা গোলগাল এবং তার চুলও লম্বা। মুম্বাই পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে সে তার ছেলে না।" তিনি দাবি করেন, গত বছরের মার্চে তার ছেলে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান।
এনডিটিভি সূত্রে জানা গেছে, শেহজাদ মেঘালয় দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। তিনি ডাউকি নদী পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। কয়েক সপ্তাহ পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করার পর চাকরির খোঁজে মুম্বাইয়ে যান।
শেহজাদের বাবা অভিযোগ করেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিপীড়নের শিকার হয়েই তার ছেলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
বাংলাদেশ থেকে কেন পালিয়েছে তার ছেলে?
রুহুল আমিন বলেন, "আমার ছেলে ২০২৪ সালের মার্চের শেষ সপ্তাহ বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ভারতে গিয়েছিল। তার শুধু একটি উদ্দেশ্য ছিল। ১৬ বছর ধরে হাসিনা সরকার ক্ষমতায় ছিল। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এমনকি মোবাইল চুরির মামলাও করা হয়েছিল। রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ ছিল এবং আমার ছেলে মনে করেছিল, দেশে সে আর থাকতে পারবে না।"
তিনি বলেন, "তাই তখন সে সিদ্ধান্ত নেয়, ভারতে যাবে চাকরির জন্য।"
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা শেহজাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি নথি উদ্ধার করেছে। তারা আরও বলেন, ভারতে শেহজাদ বিজয় দাস নামে তিনি বসবাস করছিলেন।
"সিসিটিভি ফুটেজের ব্যক্তি আমার ছেলে নয়"
সাইফ আলি খানের বাড়িতে সিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যক্তিকে গত রোববার পুলিশ থানে থেকে গ্রেপ্তার করে। মোহাম্মদ রুহুল আমিন দাবি করেন, "সিসিটিভির ফুটেজে যে ব্যক্তির ছবি সে আমার ছেলে নয়।"
তিনি আরও বলেন, "সিটিভি ফুটেজে দেখা ছবিতে চুল চোখের কাছে চলে গেছে। এমন চুল আমার ছেলের নয়।" তিনি আইএএনএস সংবাদ সংস্থাকে একদিন আগে এ কথা বলেন।
ভারতীয় কোনো পুলিশ তার ছেলেকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ফোন করেছিল কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে। তিনি বলেন, "না কেউ আমাদের এসে জানায়নি। ভারত থেকেও আমাদের কিছু জানানো হয়নি।"
এদিকে মুম্বাই আদালত আজ শনিবার শেহজাদের পুলিশি হেফাজতের সময়সীমা ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আদালত জানিয়েছে যে, পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উদ্ধার করার জন্য আরও সময় প্রয়োজন, যার মধ্যে তার কিছু পোশাকও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।